শমীকের কথায়, “ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও অভিযুক্তরা এখনও অধরা, এর থেকেই স্পষ্ট এই সরকার অপরাধীদের আশ্রয়দাতা। তবে এই জিনিস দিনের পর দিন চলতে পারে না। সেকারণেই এনআইএ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। কেউ যদি মনে করে থাকেন কোনও সাংসদকে আক্রমণ করে, রক্তাক্ত করে বিজেপিকে ভীতসন্ত্রস্ত করা যাবে, তা হলে ভুল করছেন।” সোমবার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন খগেন এবং শঙ্কর। ইটের আঘাতে রক্তাক্ত হন খগেন, হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। শঙ্কর ঘোষের উপরেও চড়-ঘুষির চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা।
advertisement
এদিকে ওই ঘটনার অব্যহতি পরেই এদিন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরাওকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পদ্ম শিবির। খগেন এবং শঙ্করের উপর হামলাকে ফের ‘পূর্বপরিকল্পিত’ বলে দাবি করেছে বিজেপি। যে এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে তৃণমূল ‘রাজনৈতিক সুবিধা’ করতে না-পারার জন্যই ছক কষে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শমীক। সোমবারই গোটা ঘটনার জন্য তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছিল বিজেপি। খগেন, শঙ্করের উপর হামলার ঘটনার নিন্দা করলেও বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দেয় শাসকদল। নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন এবং বিধায়ক শঙ্করের উপর হামলার নিন্দা করে সোমবার রাতে এক্স হ্যান্ডলে বাংলা এবং ইংরেজিতে পোস্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দুষেছিলেন রাজ্য সরকার এবং শাসকদল তৃণমূলকে। দু’ঘণ্টার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের ‘জবাব’ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।