নবগ্রামে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা পেশের সময় বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, কেন্দ্রীয় তহবিলের দাবিতে এবার দলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুযোগ্য নেতৃত্বে আন্দোলন আরও শক্তিশালী করা উচিত। তিনি বলেন, ‘‘যত দিন যাচ্ছে, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বৈমাত্রেয় আচরণ ক্রমশ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের হকের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে এবং জমিদারি সংস্কৃতি প্রবর্তন করতে চাইছে। উপরন্তু, আমরা যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কৃষি ভবনে দেখা করতে গিয়েছিলাম, তিনি পালিয়ে যান। আমাদের দাবি আদায়ে আমরা আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’
advertisement
কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সুবিশাল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। সেখানে আমরা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আমাদের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা স্থির করব। অধিকার আদায়ের লড়াই কেবলমাত্র বুথস্তরেই শুরু হয়নি, বরং তা গৃহস্থের ঘর থেকেও আরম্ভ হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে INDIA জোট স্বৈরাচারী মোদী সরকারকে গদিচ্যুত করবে।’’
বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে সমাজের নানা স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এবং দলের নিচুতলার যে কর্মীরা তাঁদের সাধ্য মতো মানুষের সেবা করেছেন, তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ঘোষণা অনুসারে তাঁরা যে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে লড়াই চালিয়ে যাবেন, আরও একবার সেই প্রতিশ্রুতি দেন দলের নেতানেত্রীরা।
আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডল জেলে, তবু বীরভূমে ঘটে গেল অবাক করা ঘটনা! খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ
পূর্ব বর্ধমানে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার বলেন, ‘‘যাঁরা দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে রয়েছেন, তাঁরা আজ এখানে জমায়েত করায় দল খুশি। কারণ, এর ফলে আমরা পরস্পরকে, একে-অপরের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাতে পারব।’’
আরও পড়ুন: নিউ টাউনে বাইক নিয়ে রোজ ঘুরে বেড়াতেন এক ব্যক্তি, ব্যাগে ছিল…! হাতেনাতে ধরল পুলিশ
তিনি আরও বলেন, ‘‘১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে গত ২ অক্টোবর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিশেষ করে যাঁরা কাজ করেও ন্যায্য পারিশ্রমিক পাননি, তাঁদের বকেয়া মেটানোর দাবিতেই এই আন্দোলন। কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে ৫ নভেম্বর থেকে এখানকার সমস্ত অঞ্চলে আমরা লাগাতার প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছি।’’
পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আজ বাংলা যা ভাবে, কাল ভারত সেটাই ভাবে।’’ তাঁর নিজের বিধানসভা এলাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় একথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদী ‘দিদি ও দিদি’ মন্তব্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করার চেষ্টা করেন। বাংলা এর যোগ্য জবাব দেয় এবং বিপুল ব্যবধানে বিজেপি পরাজিত হয়। এবার আমরা আরও বড় লড়াই লড়ছি। কারণ, এটা আমাদের দেশের বিষয়। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে বাংলা ফের একবার সারা দেশকে পথ দেখাবে।’’