জাগো বাংলার এ দিনের সম্পাদকীয়ের শিরোণামই দেওয়া হয়েছে 'ডিপফ্রিজে কংগ্রেস৷' সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, 'কংগ্রেসের মধ্যে সেই উত্তাপ, ঝাঁঝটাই যেন কমে গিয়েছে৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়ার পরেও কোথায় আক্রমণ! উল্টে দলের ভিতরেই নেতৃত্বকে নিয়ে কোন্দল এবং দিনের শেষে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতৃত্ব গুলাম নবি আজাদের বিস্ফোরক ট্যুইট৷ ট্যুইটে কাশ্মীরি এই নেতা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, আগামী লোকসভা ভোটে মোটেই ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা নেই কংগ্রেসের৷ ক্ষমতা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে কংগ্রেস৷ যে কথা তৃণমূল এতদিন ধরে বলে বারবার বলে আসছে, সেই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল গুলাম নবির কথায়৷'
advertisement
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল, শীঘ্রই খুলছে দলীয় কার্যালয়
দু' দিন আগেই মুম্বইয়ে মমতার বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ইউপিএ বলে আর কিছু নেই৷ জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তেও লেখা হয়েছে, 'ইউপিএ শেষ, বিরোধী জোট দরকার৷ দলীয় কোন্দল আর রক্তক্ষরণে কংগ্রেস এতটাই বিদীর্ণ যে দল ধরে রাখাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ পঞ্জাব থেকে গোয়া- ত্রিপুরা সেই কথাই বুঝিয়ে দিচ্ছে৷ অথচ সাম্প্রদায়িক. অগণতান্ত্রিক, জনবিরোধী, শ্রমিকবিরোধী, কৃষকবিরোধী শক্তি বিজেপি-কে হারানোর জন্য বিকল্প জোটের আশু প্রয়োজন৷ সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেস যেন পার্টিকে ডিপফ্রিজে বন্দি করে রেকেছে৷ সামান্য লোক দেখানো আন্দোলন ছাড়া নেতারা কার্যত ঘরবন্দি, ট্যুইট সর্বস্ব৷'
আরও পড়ুন: ডেস্টিনেশন গোয়া! মমতা অভিষেকের জোড়া সফরে কি নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত?
তৃণমূলের মুখপত্রে এর পরেই দাবি করা হয়েছে, 'দেশের এই মুহূর্তে বিরোধী শক্তির জোটের দরকার৷ সেই দায়িত্ব বিরোধীরাই দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রীকে৷ কারণ, তিনিই এখন সর্বজনগ্রাহ্য বিরোধী মুখ, জনপ্রিয় মুখ৷ তাঁর দিকে তাকিয়ে বিরোধী শক্তি৷'
কংগ্রেসের নেতৃত্বে যে তারা বিরোধী জোট মানবে না, তা আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছে তৃণমূল৷ বরং তৃণমূল পরিষ্কার করে দিয়েছে, ২০২৪-এর আগে জাতীয় স্তরে কংগ্রেসকে সরিয়ে বিরোধী পরিসর দখল করাই তাদের লক্ষ্য৷ বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠনেও বড়সড় ভাঙন ধরাতে শুরু করেছে তৃণমূল৷ মুম্বই গিয়ে শরদ পাওয়ার, আদিত্য ঠাকরে, সঞ্জয় রাউতদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অন্যদিকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই তৃণমূলের দেখানো পথে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠক এড়িয়েছে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, শিবসেনা, আম আদমি পার্টির মতো দলগুলি৷ ফলে বিরোধী জোট গঠনের প্রশ্নে ক্রমশই কোণঠাসা হচ্ছে কংগ্রেস৷