পাশাপাশি স্বাধীনতা সংগ্রামী থেকে শুরু করে মুনি ঋষির ছবি পড়েছে ধর্মতলা চত্বর জুড়ে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু হোক, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হোক কিংবা কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলার সংস্কৃতিকে যারা ইতিহাস থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন সাক্ষী রাখা হচ্ছে তাদেরও।
advertisement
প্রসঙ্গত, গতকাল দুপুরেই মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ খুলে দিতে শুরু করে সেনাবাহিনী৷ বাংলা ভাষা এবং বাঙালিদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদেই মেয়ো রোডে গান্ধি মূর্তির সামনে এই ধর্না মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে৷ এ দিন সেই ধর্না মঞ্চই খুলে দেয় সেনাবাহিনী৷ সেই খবর পেয়েই গতকাল মেয়ো রোডে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর পরই ঘটনাস্থল ছেডে় ফিরে যান সেনা আধিকারিক এবং জওয়ানরা৷
গতকাল মেয়ো রোডের আধখোলা মঞ্চে উঠে মমতা বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, ‘আমাদের মাইকের কানেকশন কেটে গিয়েছে, সেনার জন্য আমরা গর্বিত৷ কিন্তু সেনাবাহিনীকে যদি বিজেপির কথায় চলতে হয়, তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক৷ এখানে কোথাও রাস্তা বন্ধ করা হয়নি, গাড়ি চলতে অসুবিধা হচ্ছে না৷ শনি-রবিবার এখানে ধর্না কর্মসূচি হয়৷ পুলিশকে বলতে পারত, তাহলে আমরা নিজেরাই মঞ্চ খুলে অন্যত্র সরিয়ে নিতাম৷ প্রায় দুশোর মতো সেনা জওয়ানরা আমাকে দেখে ছুটে পালিয়ে গেল৷ আমি বললাম, পালাচ্ছেন কেন, আপনারা আমাদের বন্ধু৷ আমি সেনাকে দোষ দিচ্ছি না, এটা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, বিজেপির কথায় হয়েছে৷ সেনাকে রাজনৈতিক দলের মঞ্চ, মাইক খুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে, সবাই দেখতে পাচ্ছে৷’