জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি করে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাসঙ্গিক করা। দলীয় সূত্রে খবর, এবারে প্রধান বার্তা -বাঙালি আবেগ ও বাঙালি অস্মিতাকে সামনে রেখে জোরদার লড়াই। দিকে দিকে অত্যাচারিত বাঙালিরা। এর প্রতিবাদ চলবে।এই ইস্যুতে শুধু রাজ্যকেন্দ্রিক কর্মসূচী নয়। দিল্লিকেন্দ্রিক কর্মসূচী ঘোষণা হতে পারে।
advertisement
এবারের একুশে বিশেষ নজরে অসম-ওড়িশা। বঞ্চনা ইস্যুতে পুরোপুরি রাস্তায় থাকবে দল। দলীয় শৃঙ্খলাই শেষ কথা। দলের সিদ্ধান্ত না মানলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূল। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক জেলার ঘটনা তার প্রমাণ। লোকসভায় একাধিক আসন পেয়ে ঘরে বসে থাকলাম তা চলবে না। দল একাধিক কর্মসূচী নিচ্ছে। তার পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে জনসংযোগ করায় কোনও ফাঁকি দেওয়া যাবে না।পারফরম্যান্স শেষ কথা। পদ আঁকড়ে বসে থাকলাম, আর ফল দিতে পারলাম না এটা চলবে না।
পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে সাংগঠনিক নেতা। প্রত্যেকে কে কী কাজ করছেন, তার মূল্যায়ন করছে দল। নেতা ধরে পদোন্নতি নয়৷ কাজ হবে দলীয় পদোন্নতি ও ভোটে লড়ার মাপকাঠি দিয়ে।
বেশি করে সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। দলের কথা দলের অন্দরেই বলতে হবে।
সাংসদ হয়ে গেলাম মানে দিল্লি অভিমুখে চলে গেলাম তা নয়৷ নিজের সংসদীয় এলাকায় নিয়মিত সময় দিতে হবে।
জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর আরও চড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জোটে থাকার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে তৃণমূল। কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের দাদাগিরি না-পসন্দ। বিভাজনের রাজনীতি নয়, উন্নয়নের অস্ত্রেই বাজিমাত করতে চায় শাসকদল। হাজির থাকবেন সব সাংসদ, বিধায়করা। হাজির থাকতে পারেন INDIA তে শামিল হওয়া দুই শরিকের প্রতিনিধিরাও। ছাব্বিশে বাঙালি আবেগ ও বাঙালি অস্মিতাকে সামনে রেখে জোরদার লড়াই দিতে চায় তৃণমূল। আর তারই প্রস্তুতি এবার একুশে।