কিন্তু নদীর দূষণ ও বাঁধ নির্মাণে বাংলাদেশের চলনবিলের সঙ্গে সংযোগ কমে আসায় ক্রমে বিলুপ্তপ্রায় হয়ে পড়ে এই নদীয়ালি মাছ। আজ বালুরঘাটের বাজারেও আর সেভাবে চোখে পড়ে না রাইখর। তবে আশার আলো জ্বলেছে উত্তরবঙ্গে।
advertisement
জলপাইগুড়ির অন্তর্গত ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রামে রাজ্যের মৎস্য দফতরের সহায়তায় দীর্ঘদিনের গবেষণার পর সফল হয়েছে রাইখরের কৃত্রিম প্রজনন। জেলা মৎস্য আধিকারিক অমিত সরকার জানিয়েছেন, প্রায় ১৫ বিঘা পুকুরে এখন রাইখরের চাষ চলছে। পাশাপাশি গুলসা ট্যাংরা, বোড়োলি ও দাড়াঙ্গির মতো আরও বিলুপ্তপ্রায় মাছ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় মৎস্যচাষি কৌশিক রায় বলেন, “ফার্মার্স ক্লাব ও এফপিসি-র মাধ্যমে কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিলাম। প্রথমদিকে অনেক মাছ মারা গেলেও ধীরে ধীরে সাফল্য মিলেছে। এখন ১০ মাসে একটি রাইখরের ওজন প্রায় ১০০ গ্রাম হয়। বাজারেও এর চাহিদা তৈরি হয়েছে।”
যদিও পুকুরে চাষ করা রাইখরের স্বাদ নদীর মতো নয়, তবুও গ্রাহকেরা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন। ফলে কৃষকরা আশাবাদী, শীঘ্রই উত্তরবঙ্গের পুকুরেই বাজার উপযোগী পরিমাণে রাইখর ও অন্যান্য নদীয়ালি মাছ চাষ সম্ভব হবে। এই উদ্যোগ শুধু মাছের প্রজাতি সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয় মৎস্যচাষিদের আর্থিক উন্নতিতেও নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।