ইতিমধ্যেই বিধায়ক, কাউন্সিলরদের তরফে প্রচার শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লি যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সেই লক্ষ্যে সুর চড়াবে শাসক দল। এবারের বক্তা তালিকাতেও চমক থাকতে চলেছে। সূত্রের খবর, বীরবাহা হাঁসদা, জ্যোৎস্না মান্ডি, প্রকাশ চিক বরাইক থাকতে পারেন। ১৯ তারিখ থেকেই আসতে শুরু করবেন দলের কর্মীরা। অন্যান্য বারের মতোই থাকবে ব্যবস্থা।
advertisement
অন্যান্য রাজ্যের সংগঠনের প্রতিনিধিরাও হাজির থাকবেন সমাবেশে।রেকর্ড জমায়েত করাই এবার প্রধান লক্ষ্য শাসক দলের। ২০২৩ -এর ২১ জুলাই থেকে ২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটের ফলকে সামনে রেখেই ২৪-এর লড়াইয়ের ডাক দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তাই এবারের ২১ জুলাই জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে।
আরও পড়ুন: ‘অভিষেকের সঙ্গে রাত ৩টে অবধি ফোনে কথা হয়েছে’, গণনার রাতে রাতজাগার আসল কারণ জানালেন মমতা
সেই সমাবেশ আয়োজন করতেই ইতিমধ্যেই দফায় দফায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজপথে ২১ জুলাই থেকে, টার্গেট থাকবে জাতীয় স্তরে নিজেদের শক্তি বুঝিয়ে দেওয়া ৷ তাই চলতি বছরের ২১ জুলাই পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে রাজ্যের বাইরেও। বিশেষ করে ত্রিপুরা, অসম, গোয়া, মেঘালয়ের মতো রাজ্য। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস এখন থেকেই লড়াই করছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে ও করবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই গ্রেফতার শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ কাঁথির বিজেপি নেতা কণিষ্ক পণ্ডা
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘এখন থেকেই দিল্লির ডাক আসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন৷ তিনি বৈঠক করেছেন ৷ ফলে ২১-এর মঞ্চ থেকে ২৪-এর লড়াইয়ের ডাক দেওয়া হবে।’’ পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করিয়ে দিয়েছে, ২১ জুলাই তাদের কাছে একটা আবেগ। ফলে দলের কর্মী,সমর্থকদের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা রাখেন, সেটাও সকলের নজরে রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ইস্যুতে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হয়েছে তৃণমূলকে, এমনটাই অভিযোগ করছেন নেতারা। তবে ২১-এর বাংলার বিধানসভা ভোটের ফল, পরবর্তী সময় জুড়ে একাধিক উপনির্বাচনের ফল ও পঞ্চায়েত ভোটের ফল জোড়া ফুল শিবিরের দিকেই গিয়েছে। এই আত্মবিশ্বাসকে সামনে রেখেই এবারের ২১ জুলাই আয়োজন হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে খবর। লোকসভা ভোটের আগে এই সমাবেশ থেকে নিজেদের শক্তি বোঝাতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।