অতিমারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ হয়েছিল ভার্চুয়াল মাধ্যমে। কালীঘাটের বাসভবন থেকেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে। যা সম্প্রচার করা হয়েছিল দলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিতে। প্রতিটি ব্লকে নেতাদের মমতার বক্তৃতার শোনার আয়োজন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া দিল্লি, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতেও নেতাদের পাঠিয়ে ২১ জুলাইয়ে মমতার বক্তৃতা শোনানোর বন্দোবস্ত করেছিলেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
advertisement
আরও পড়ুন-আইপিএল-এর ডিজিটাল স্বত্ব এখন Viacom18-এর হাতে, লোকসান কি পোষাতে পারবে ডিজনি+হটস্টার?
২০২১ রাজ্য বিধানসভা ভোটে ব্যাপক ফল করার পর বৃহৎ আকারে সমাবেশ হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু অতিমারির কারণে তা হয়নি। চলতি বছরে অতিমারীর প্রকোপ কম। তাই মনে করা হচ্ছে বৃহৎ আকারে এই সমাবেশ হবে। এই মুহূর্তে বিজেপি বিরোধীতায় দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল হল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই রাজ্যে আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এই সমাবেশ থেকে কর্মীদের উদ্দেশ্য মমতা বন্দোপাধ্যায় কি বার্তা দেন সেটাই দেখার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার জানিয়েছেন, ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস তৃণমূলের কাছে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। এই দিনটিতে তৃণমূল তাদের ১৩ জন বীর শহীদ, যাঁদের ১৯৯৩ সালে রাজনৈতিক হিংসার বলি হতে হয়েছিল তাঁদের স্মরণ করেন। এই দিনটিতে প্রতিবছর তাঁদের বীরের মৃত্যুবরণকে শ্রদ্ধা জানায় দল। তখন বাম আমল, ১৯৯৩ সালে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের দাবিতে মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে যুব কংগ্রেসের নেত্রী ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিরাট বিনিয়োগ ! বড় জয় ভায়াকম ১৮-এর
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই কয়েক হাজার কংগ্রেস কর্মী রাস্তায় নামেন। অভিযোগ, ওই মিছিলের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। তাতে ১৩ জন কংগ্রেস কর্মী নিহত হন বলে অভিযোগ। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকে প্রতিবছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে থাকে তৃণমূল।
