ধর্মঘট প্রত্যাহার নিয়ে এ দিন পরিবহণ সচিবের সাথে বৈঠক হয় বাস সংগঠনের প্রতিনিধিদের। যদিও সেই বৈঠক কার্যত নিস্ফলা। ফলে বাস ধর্মঘট হচ্ছেই শহর ও শহরতলিতে। বাস সংগঠন পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। তাঁদের মতে, কোভিড-১৯ এর সময় দু’বছর পরিষেবা প্রায় বন্ধ থাকায় বাস্তবতা মেনে এই সিদ্ধান্ত সংশোধন প্রয়োজন। পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে। অযৌক্তিক টোল ট্যাক্স আদায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিজেলের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির ফলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়াও অন্যান্য প্রশাসনিক সমস্যার সমাধান সহ ৫ দফা দাবির ভিত্তিতে তারা এই আন্দোলনে যাচ্ছে।
advertisement
দাবি, মেয়াদ উত্তীর্ণ বাসের সময়সীমা দু’বছরের জন্য বৃদ্ধি করতে হবে। বাড়াতে হবে ভাড়া। বন্ধ করতে হবে পুলিশের জুলুম। এর আগে একাধিক বার ধর্মঘটে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেও পিছিয়েছেন বেসরকারি মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সংগঠনের বক্তব্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। সেই অনুপাতে বাসের ভাড়া অনেক কম। ২০১৮–র পরে রাজ্যে বাসের ভাড়া আর বাড়েনি। তা ছাড়া, পরিবেশ দূষণ এড়াতে কলকাতা হাইকোর্ট ১৫ বছরের বেশি বয়সি বাসগুলি চলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই সঙ্গে বিনা অপরাধে পুলিশের কেস দেওয়ার সংখ্যা বেড়েছে বলেও দাবি সংগঠনের কর্মকর্তাদের।
এ দিন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সংগঠন নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।