সেই বিবৃতিতে পুলিশের বল প্রয়োগের সমালোচনা করার পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমেই জটিলতা কাটিয়ে ওঠার আর্জি জানানো হয়েছে৷ পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে যাতে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা না হয়, সেই বিষয়েও অনুরোধ করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: হায় রে জন্মদিন! জেলেই রাত কাটল টেট উত্তীর্ণ অচিন্ত্যর
যে তেরো জন এই বিবৃতিতে সই করেছেন, তার মধ্যে রয়েছেন অপর্ণা সেন,চিকিৎসক ও সমাজকর্মী বিনায়ক সেন, চিকিৎসক কুণাল সরকার, নাট্য ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী, সুমন মুখোপাধ্যায়, সুজন মুখোপাধ্যায়, বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রেশমী সেন, ঋদ্ধি সেন, কৌশিক সেন এবং সমাজকর্মী বোলান গঙ্গোপাধ্যায়৷
advertisement
বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, 'সংবাদ মাধ্যমে আমরা দেখেছি যে অনশনরত চাকরি প্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য কীভাবে বিধাননগর পুলিশ বলপ্রয়োগ করে তাদের আন্দোলনকে ভাঙার চেষ্টা করেছে। এই ঘটনাকে আমরা ধিক্কার জানাই । এবং পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ বলে মনে করি।'
আরও পড়ুন: সব চেষ্টা ব্যর্থ, পুলিশি প্রহরায় দিল্লি গেলেন সায়গল! আরও চাপে অনুব্রত
পাশাপাশি বিবৃতিতে আরও লেখা হয়েছে, '১৪৪ ধারা বলবৎ করার আদেশ দিতে গিয়ে মাননীয় বিচারক মন্তব্য করেন, "পুলিশ কি পাওয়ার লেস?" এই মন্তব্য অসাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিক সুরক্ষার বিরোধী বলে মনে করি। অবিলম্বে সরকারকে আলোচনার মাধ্যমে এই জটিলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের যাতে না করা হয়, সে বিষয়ে দৃষ্টি দিতে অনুরোধ করছি।'
সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম পর্বে অপর্ণা সেন, কৌশিক সেনদের মতো বিশিষ্টজনরাই পরিবর্তনের পক্ষে আওয়াজ তুলেছিলেন৷ যদিও গত কয়েক বছরে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপের সমালোচনা শোনা গিয়েছে তাঁদের কয়েকজনের গলায়৷ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগের ঘটনায় ফের মুখ খুললেন বিশিষ্টজনদের একাংশ৷ যা নিঃসন্দেহে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিতে বাধ্য৷