বেশিরভাগ মানুষই সারাদিন রোগীর ওষুধ থেকে আরম্ভ করে নানা সমস্যা নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করেন। যার ফলে তাঁরা বিষয়টি নীরবেই মেনে নিচ্ছেন। তার মধ্যে কেউ কেউ পুলিশে অভিযোগ করলেও চোর ধরা পড়ে না।
শুক্রবার রাত্রি সাড়ে এগারোটা নাগাদ এক পুলিশ অফিসার এসে দু চারটি ভবঘুরেকে হাসপাতাল থেকে তাড়ান। তারা আসলে চোর ছিল কিনা সেটি রোগীর বাড়ির লোকেরা বলতে পারছেন না।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘সাবধান! সাবধান! মধ্যরাতে শহরে ভ্যাম্পায়ার…’ হঠাৎ এ কী বললেন ব্রাত্য?
রোগীর বাড়ির আত্মীয়দের বক্তব্য, কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যে পরিমাণে চুরি প্রতিদিন বাড়ছে, তাতে রীতিমতো বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেনা অনেকে।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের বক্তব্য, চুরি হচ্ছে, চোর ধরাও পড়ছে। এত বড় হাসপাতালে এত জন রোগীর পরিজনেরা একসঙ্গে শুয়ে বসে থাকে কিংবা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে।তাতে কে রোগীর বাড়ির লোক, কে চোর, সেটা নির্ধারণ করা যথেষ্ট কঠিন।
হাসপাতালের কর্মীদের সূত্রে খবর, বেশিরভাগ জায়গায় সিসি ক্যামেরা কাজ করে না। আর যে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা কাজ করে, চোরেরা সেই ক্যামেরার আড়ালে বসে থেকে কখন চুরি করে পালায়, কেউ টের পায় না।
হাসপাতালে এসে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন রোগীর পরিবারের লোকজন। হাসপাতালের বেশিরভাগ গেটে রাতে তালা লাগানো থাকে, তবু পুলিশ এবং সিকিউরিটির চোখ এড়িয়ে কী করে চুরি হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছেন রোগীর পরিবারের লোকজনেরা।
রাত বাড়লে হাসপাতালে নার্স, নিরাপত্তা কর্মীদের নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া, রোগীর পরিবারদের সঙ্গে ঠিকমতো ব্যবহার না করা এবং হাসপাতালে নিরাপত্তা শিথিল করে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।