আরও পড়ুন: 'আসানসোলে খেলা ভালই জমবে', ফের স্বমেজাজে দাপুটে অনুব্রত মণ্ডল, কেন এমন বললেন?
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে কীভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে উপাচার্যকে। প্রকাশ্যে যে ধরনের অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তার নিন্দা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "আলিয়ায় (Aliah University) যে নেতাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি বলা হচ্ছে তাকে ৩ বছর আগেই দল সরিয়ে দিয়েছে অশ্লীল ও দলবিরোধী কাজ করার জন্য। আমাদের বক্তব্য দলের বদনাম করতেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ইচ্ছা করে ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে অশ্রাব্য গালিগালাজ দিয়ে৷ সরকারের ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে উপাচার্যকে অনুরোধ করা হচ্ছে তিনি যেন অবিলম্বে থানায় অভিযোগ জানান। পুলিশের কাছে অনুরোধ তারা যেন অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে৷" তৃণমূলের দাবি, উপাচার্যকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট বার করে আনে।
advertisement
কিন্তু যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কে? সূত্রের খবর, গিয়াসউদ্দিন মোল্লা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বাড়ি। ২০১৩ সালে কলকাতায় পড়াশোনার জন্য আসে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিঁ নিয়ে ভর্তি হয়। এক বছরের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিজের কুকীর্তির জন্য বেশ নামডাক হয় গিয়াসউদ্দিন মোল্লার। এরপর আস্তে আস্তে রাজনীতির ছত্রছায়ায় প্রবেশ করতে থাকে গিয়াস। নিজেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট প্রেসিডেন্ট হিসাবে ঘোষণা করে, যদিও সেই সময় কোন ইউনিট ছিল না বলেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি। এরপর ২০১৮ সালে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তোলাবাজি ,ক্যান্টিন থেকে তোলা আদায়, জুনিয়ার ছাত্রদেরকে পেটানো সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে এই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্তক্ষেপে তাকে বহিষ্কৃত করা হয়। সে তার দলবল নিয়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাকে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন- রামপুরহাট কাণ্ড 'পৈশাচিক', রাজ্যে পর পর হিংসার ঘটনা নিয়ে মমতাকে চিঠি বিশিষ্টদের
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের একটি ছাত্র কলকাতায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে কিভাবে গালিগালাজ হুমকি দিল? এর পfছনে কারা? আলিয়া কাণ্ডে অভিযুক্ত যুবক আলিয়ার প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্ট কবিরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল। ছাত্র পরিষদ সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য দাবি করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ নয়। তৃণাঙ্কুর জানিয়েছেন, "এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। আমার সঙ্গে উপাচার্যের কথা হয়েছে। আমাদের ইউনিটের সবাই তাঁকে বার করে নিয়ে আসেন। তিনি একটু স্বাভাবিক হয়ে যেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অভিযুক্ত কোনও দিনই আমাদের ইউনিট প্রেসিডেন্ট ছিল না। ২০১৫ সালে সাধারণ কর্মী হিসাবে যোগ দেয়। ২০১৮ সাল থেকে সব সম্পর্ক তার সঙ্গে ছিন্ন হয়েছে।"