শনিবারের ঘটনায় এক নাবালককেও গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। রবিবার তাকেও ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। তার জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেয় আদালত। আগামী ২৪ জানুয়ারি জুভেনাইল কোর্টে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ততদিন হোমেই রাখা হবে ওই নাবালককে।
আরও পড়ুন: যা পছন্দ, তা-ই বিনামূল্যে পাবেন গরিব মানুষেরা, অবাক করবে লখনউ-এর এই 'মল'
advertisement
প্রসঙ্গত, গত শনিবার ছিল আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠা দিবস। এই উপলক্ষে নওশাদ সিদ্দিকির বিধানসভা এলাকা ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় পতাকা লাগাচ্ছিলেন আইএসএফ কর্মীরা। ভাঙড়ের হাতিশালায় দলীয় পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয় তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে। একে-অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে দুপক্ষই। সেই হামলারই আঁচ পড়ে শহর কলকাতায়।
আরও পড়ুন: রাত ২টোর সময় অসমের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হঠাৎ ফোন! ওপার থেকে ভেসে এল 'শাহরুখ খান বলছি..'
শনিবার বিকালে ধর্মতলায় রাস্তার মধ্যেই জমায়েত করতে শুরু করেন আইএসএফ কর্মীরা। ছিলেন নওশাদও। শহরের অন্যতম কেন্দ্রস্থলে ব্যস্ত সময়ে এভাবে জমায়েত করতে আইএসএফ কর্মীদের নিষেধ করে পুলিশ। অভিযোগ, আইএসএফ কর্মীরা সেই কথা শোনেননি। এরপরেই ভিড় হঠাতে লাঠি, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিয়ে চড়াও হয় পুলিশ। দফায় দফায় তাদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে আইএসএফ কর্মীদের। পুলিশকর্মীদেরও মারধরের অভিযোগ ওঠে।
এরপর পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড় চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী সহ ১৯ জনকে। যার মধ্যে এক নাবালকও ছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েত, অস্ত্র নিয়ে গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, সরকারি কর্মীদের উপর হামলা, খুনের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এগুলির মধ্যে অধিকাংশই ছিল জামিন অযোগ্য ধারা। ধৃতদের এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়।