গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত সপ্তাহে রাজ্যের শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের দাবি, মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দাদের হাতে কিছু নতুন তথ্য এসেছে। সেই সূত্র ধরেই গ্রুপ সি দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে নথিগুলো হাতে পেতে চাইছেন তাঁরা। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, নতুন তথ্য লুকিয়ে বিকাশ ভবনের নথিতেই। নথি পেতেই তাই শিক্ষা দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
advertisement
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আগেই বিরাট সিদ্ধান্ত কমিশনের! এবার টার্গেট এই ৬ জেলা..
প্রসঙ্গত, এসএসসি-র একাধিক পদে ও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে স্বশাসিত বোর্ডের মাধ্যমে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরোটাই দেখা হয়েছে শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকের তরফে। সেই জায়গা থেকেই দফতরের সচিব হিসেবে মণীশ জৈন নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যে অবগত ছিলেন, তা ধরে নিয়েই দু’বার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর।
সিবিআই সূত্রের দাবি, গত বৃহস্পতিবার প্রায় ৮ ঘণ্টার বেশি সময় মণীশ জৈনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। তাতে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে তদন্ততকারী সংস্থার তরফে। সূত্রের দাবি, এর আগে বারে বারে তৎকালীন বিভাগীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে, মন্ত্রী থাকলেও নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। তাঁর কাছে ফাইল আসত, তিনি সই করে দিতেন। তবে দফতরের আমলা অফিসাররা নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অবগত ছিলেন বলে সিবিআই জেরাতে পার্থ জানিয়েছিলেন বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
এর আগে বাগ কমিটির তরফেও মণীশকে ডেকে কথা বলা হয়েছিল। সব মিলিয়ে নিয়োগ দুর্নীতির অন্দরে যে শিক্ষা দফতরের ভিতরের অনেকেই জড়িত আছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারী সংস্থা। সেই সূত্র ধরেই আরও কিছু নথি হাতে পেতে চাইছে সিবিআই। সূত্রের খবর, আর সেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেই বড় পদক্ষেপের পথে হাঁটতে পারে তদন্তকারী সংস্থা।