শশী পাঁজা এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জানান, "কেন্দ্রীয় সংস্থা, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নানা ভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। সম্মানের ক্ষতি হচ্ছে৷ নিয়োগ দূর্নীতিতে বহু রাজনৈতিক দল আছে। এরকম বহু নেতা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তারা বিধানসভার মধ্যেও হুমকি দিচ্ছেন। হাতে করে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে এমন নেতাও রয়েছেন সেই তালিকায়। যদিও কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়নি। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কুন্তল ও শান্তনুকেও অপসারিত করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দাবি, তদন্ত নিরপেক্ষ ভাবে করতে হবে। তদন্তে গতি আনতে হবে। কোনও টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় থেকে উদ্ধার হয়নি। এর দায় নিতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। দল এর দায় নেবে না।"
advertisement
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "খাপ পঞ্চায়েত করা হচ্ছে৷ যা নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। এখন বলা হচ্ছে ১২০ কোটি টাকা সিজ হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের হয়তো আরও গ্রেফতার করবেন৷ কিন্তু বিজেপি নেতাদের কেন ডাকবেন না? আমরা চাই তদন্ত দ্রুত শেষ হোক। একটা দলকে সামাজিক ভাবে অসম্মান করা হচ্ছে। এর ফলে মানুষ রাজনীতিতে আসতে ভয় পাবে। আমরা সব ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিচ্ছি। কুন্তল ও শান্তনুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা দলীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। যদিও আমাদেরকেই হেনস্থা করা হচ্ছে। শাসক দল হওয়াটা অপরাধ নাকি? বিধানসভা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কারা ইডি-সিবিআই ব্যবহার করছে৷"
আরও পড়ুন: "অনুব্রতর কথাতে কাজ করেছি...." ইডি-র জেরায় আজ 'চার্টাড অ্যাকাউন্ট' মণীশের মুখোমুখি অনুব্রত
ব্রাত্য বসু আরও বলেন," নির্বাচন আসলেই আমাদের দাগিয়ে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবার এটা করছে। তবে ভোট এবারও পাবেন না।" একইসঙ্গে মাণিক ভট্টাচার্য ও অনুব্রত মণ্ডল নিয়ে দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করে এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, "মাণিক ভট্টাচার্য বিধায়ক, দলীয় পদে ছিলেন না তিনি৷ অনুব্রত মণ্ডল নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা দল জানাবে।" যদিও শান্তনু ও কুন্তল প্রশ্নে ব্রাত্য বসু বলেন, "এদের নাম উঠে এসেছে। তারা নির্দোষ হলে, বিচার প্রক্রিয়ায় হয়ে আসুন। আপাতত দল তাদের বহিষ্কার করেছে৷" তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের ভূমিকাকে কটাক্ষ করে বলেন, "ইডি বা সিবিআই কি কারও পৈতৃক সম্পত্তি নাকি? এটা পদ্ধতি নয়৷ প্রতিষ্ঠানগুলি দুর্বল হয়ে গিয়েছে। সুপার এমারজেন্সি চলছে দেশজুড়ে৷"