মূলত, দুপুর ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হলেও সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন। দু’দফায় নিরাপত্তা চেকিং করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে। প্রথম দফায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি হবে, দ্বিতীয় দফায় ফ্রিস্কিং করা হবে পরীক্ষার্থীদের। নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় যাচাই পর্ব শেষ হলে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ডে তা লিখতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের। তারপরই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন। ফলে হাতে সময় নিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অবশেষে এজলাস থেকে উঠল কর্মবিরতি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি হয়!’
নিরাপত্তার পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্নপত্র প্রত্যেক পরীক্ষার্থী পিছু থাকবে। অর্থাৎ, প্রত্যেক পরীক্ষার্থীদের জন্য পৃথক পৃথক প্রশ্নপত্র থাকবে। তারাই প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলবেন। অর্থাৎ, কোনও ভাবেই পরীক্ষার্থীর আগে অন্য কেউ প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার সুযোগ পাবেন না। এই মর্মে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিভিন্ন জেলাগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এবারের প্রাথমিক টেট দিচ্ছে প্রায় তিন লক্ষ দশ হাজার পরীক্ষার্থী। গতবারের তুলনায় টেটের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। কমেছে পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যাও। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের বাড়ির কাছাকাছি এলাকাতেই পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু কাণ্ডে হূলস্থূল, রিপোর্ট জমা পড়ল নবান্নে! নিরাপত্তার প্রশ্নে আরও কড়া নজরদারি
রবিবার দুপুর ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত হবে পরীক্ষা। পরীক্ষার্থীরা ওএমআর শিট-এর কপি নিয়ে যেতে পারবেন বলেই পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই মুখ্য সচিব বিভিন্ন জেলাগুলির সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন প্রাথমিকের টেট নিয়ে। সব রকম প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি জেলাগুলির তরফে যাতে সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয় তা নিয়ে ইতিমধ্যে জেলাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারও টেট নিয়ে জেলাগুলির সঙ্গে সমন্বয়ে বজায় রাখবেন বলেই জানানো হয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়