কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর মামলায় এনআইএ তদন্ত ভার হাতে নিল। এনআইএ আইনজীবী শ্যামল ঘোষ জানান, এফআইআরে জন্য আদালতে সাবমিশন করা হয়েছিল। এফআইআর-এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। এর পর প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট নিয়ে এনআইএ নিজেদের কাস্টডিতে নেবে তিন আইএস জঙ্গিকে। এসটিএফের হাতে ধৃত জঙ্গি আব্দুল রাকিব কুরেশিকে জেরা করে এসটিএফ জানতে পারে, মধ্যপ্রদেশ থেকে ধৃত এই জঙ্গি রাকিব ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন (IM ) জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিল। এসটিএফ সূত্রে খবর, রাকিব ২০০৯-১০ সাল থেকে যুক্ত ছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে। রাকিব শুধু আইএস, বা সিমির প্রাক্তন সদস্য নয়, আইএম জঙ্গি সংগঠনের বড় মাথার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল বলে দাবি এসটিএফের।
advertisement
আরও পড়ুন, মাত্র দেড় মিনিটেই শেষ ইন্টারভিউ! প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে আরও বড় দুর্নীতির গন্ধ
আরও পড়ুন, ৬ বছর পরেও জানা যায়নি TET-এর ফল! মানিককে ২ লক্ষ টাকার জরিমানার নির্দেশ বহাল
সেই মাথা কে? তার খোঁজ করছে এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে খবর, রাকিবের দাদা ২০১৭ সালে মধ্যপ্রদেশে খান্ডোয়ায় জেল থেকে সিমি জঙ্গি পালানোর ঘটনায় যুক্ত ছিল সরাসরি। যদিও পরবর্তী কালে রাকিবের দাদার মৃত্যু হয়। এসটিএফ সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশে খান্ডযায় জেলের শৌচাগারের পাশে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা। এমনকি পুলিশ কনস্টেবল দু’জনকে আঘাত করেছিল। সেই ঘটনায় আব্দুল কুরেশির দাদা সরাসরি যুক্ত ছিল বলে জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রে খবর, সাদ্দাম ও রাকিবের একটি গোপন বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই খানে তৃতীয় এক বড় জঙ্গি মাথার আসার কথা ছিল। ওই গোপন বৈঠক মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গর বাইরে করার কথা ছিল।
প্রথমে জানুয়ারি মাসে সেই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তারপর ফের সেই গোপন বৈঠক পিছিয়ে জানুয়ারি মাসে হওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু তার আগে এসটিএফ গ্রেফতার করে। বৈঠকে, আইএস জঙ্গি সংগঠনে কার্যকলাপ প্ল্যান করার জন্য এই তৃতীয় মাথার জঙ্গির সঙ্গে দেখা করার প্ল্যান করেছিল কুরেশি। ২০১৯ সালে ছাড়া পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়াতে জঙ্গি কার্যকলাপ প্রচারে সক্রিয় হয়ে ওঠে ধৃত জঙ্গি আব্দুল কুরেশি। আব্দুল কুরেশি বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে খুনের চেষ্টা, ২০১৪ সালে তালিবানি স্লোগান, ২০১৯ সালে অপর একটি মামলা-সহ মোট তিনটি মামলা রয়েছে।মধ্য প্রদেশ থেকে ধৃত জঙ্গি আব্দুল রাকিব কুরেশির সেখানে একটি দোকান রয়েছে নিজের । দোকানের আড়ালে রাকিব জঙ্গি কার্য কলাপ চালাতো!
অভিযোগ, রাকিব জঙ্গিদের অর্থ দিয়ে সাহায্য করত, সংগঠনের প্ল্যানিং করত, জঙ্গিদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিত। আব্দুল-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ সেও জঙ্গিদের অর্থ যোগান দিত, জঙ্গি সংগঠনের প্ল্যানিং করত, জঙ্গিদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিত। এমনকি আর্মস থেকে শুরু করে, মোবাইল, চিপ,মানি ব্যাগ থেকে কিছু টাকা পাওয়া গিয়েছে, পেন ড্রাইভ, জেহাদি লিটারেচার যা পাওয়া গিয়েছে