এ দিন বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে আলোচনা শুরু হওয়ার পর বক্তব্য রাখতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়৷ বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে শুরু করেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়৷ তখনই তাঁর বক্তব্যকে অপ্রাসঙ্গিক বলে দাবি করেন অধ্যক্ষ৷ এ নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়৷ হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করে দেন স্পিকার৷ অধ্যক্ষের এই আচরণের প্রতিবাদেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা৷ বিক্ষোভ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁ এবং শঙ্কর ঘোষকে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য মার্শালদের নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ৷
advertisement
আরও পড়ুন: নজিরবিহীন ঘটনা, নিয়ম ভেঙে হাইকোর্টের রোষানলে ২১ আইনজীবী! জারি হল রুল
এর পরেই ওই দুই বিধায়ককে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দেন বিধানসভার মার্শালরা৷ এর প্রতিবাদে বাকি বিজেপি বিধায়করাও অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন৷ বেরিয়ে যাওয়ার সময় কাগজ ছিঁড়ে ওড়ানোর জন্য বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনকে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ৷ চলতি অধিবেশনের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ৷
এর আগেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এখনও তাঁর সাসপেনশন শেষ হয়নি৷ ফলে এ দিন অধিবেশন কক্ষে ছিলেন না বিরোধী দলনেতা৷ অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তের পাল্টা পদক্ষেপ কী হবে, তা ঠিক করতে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বৈঠকে বসছে বিজেপি-র পরিষদীয় দল৷
অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অধ্যক্ষের ক্ষমতাই চূড়ান্ত। তাঁর আদেশ সবাইকে মেনে চলতে হবে। অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা হয়েছে আজ এখানে। যা কোনও সদস্যের থেকে কাম্য নয়। তাই দীপক বর্মনকে সাসপেন্ড করা হল।’
তৃণমূলের পক্ষে নির্মল ঘোষ বলেন, ‘বিরোধীরা অবজ্ঞা করছেন অধিবেশনকে। অধ্যক্ষের নির্দেশ মানা হচ্ছে না।’
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকের পর বারুইপুরে সভা করে এই স্পিকারের মুখোশ খুলব। বাইরে যে গুন্ডামিটা তৃণমূলের গুন্ডাদের দিয়ে করাচ্ছেন, বিধানসভার ভিতরে সেটাই মার্শালদের দিয়ে করাচ্ছেন।’