সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি বিধায়কদের অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার জন্যও মার্শালদের নির্দেশ দেন অধ্যক্ষ৷ সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি বিধায়কদের বের করে দিতে গেলে মার্শালদের সঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের ধস্তাধস্তি, এমন কি মারামারি শুরু হয়৷ বেশ কিছুক্ষণ ধরে এই পরিস্থিতি চলার পর বিজেপি বিধায়করা ওয়াক আউট করেন৷ যে চার বিজেপি বিধায়ককে এ দিন সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ, তাঁরা হলে শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ ওরাঁও এবং দীপক বর্মন৷
advertisement
আরও পড়ুন: একপেশে জয়ের পথে তৃণমূল, তার পরেও জোর টক্কর দেখল কালীগঞ্জে! বিজেপি-র চিন্তা বাড়াল বাম কংগ্রেস?
কয়েক দিন আগে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন একটি প্রশ্নে রাজ্যের মন্ত্রীর বক্তব্য না শুনেই বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা৷ ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি সহ বিজেপি বিধায়কদের সেদিনের বক্তব্য বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অধ্যক্ষ৷ এ দিন অধিবেশন শুরুর পর অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হন বিজেপি বিধায়করা৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিজেপি-র তোলা প্রশ্নের জবাব দেন৷ যদিও মন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালীনই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা৷ হাতে থাকা কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন তাঁরা৷
অধ্যক্ষ বার বার তাঁদের সতর্ক করলেও শান্ত হননি বিজেপি বিধায়করা৷ ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা৷ এর পরই চারজন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ৷ যদিও এই সময় শাসক দলের বিধায়করা নিজেদের আসনেই বসে ছিলেন৷ এই গন্ডগোলের মধ্যেই বিধানসভায় পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ দলীয় বিধয়াকদের মুখে ঘটনার কথা শুনে অধ্যক্ষের কাছে যান তিনি৷ তখনই রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় বিরোধী দলনেতার৷