কিন্তু এই চার্জশিট সংক্রান্ত মামলাতে মঙ্গলবার কড়া অবস্থান নিল আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত। কেন আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে? কেনই বা টাকার বিনিময়ে যারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের অভিযুক্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি?
আরও পড়ুন- গ্রেফতার কালীঘাটের কাকু! জাল গোটাচ্ছে ইডি, এর পর কে? তুমুল জল্পনা
কেন তাদের নাম চার্জশিটে রেখে দুর্নীতি দমন আইনে চার্জশিট দেওয়া গেল না, এমনই সকল প্রশ্নে বিদ্ধ সিবিআই। শুধু তাই নয়, আগামী ২ জুনের মধ্যে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকের কাছে সবিস্তারে ব্যাখ্যা তলব করেছেন আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়।
advertisement
প্রসঙ্গত, চার্জশিট পেশের পরদিনই তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। কারণ কুন্তল, তাপস ও নীলাদ্রির বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, ষড়যন্ত্রমূলক অপরাধ ধারাতে চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই।
তারা জনপ্রতিনিধি বা পাবলিক সার্ভেন্ট না হওয়ার কারণে পিসি অ্যাক্ট বা দুর্নীতি দমন আইনে চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। আদালত সূত্রে খবর, এতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিচারক।
পরদিনই আদালতে বিচারক বলেন, গত বছর অক্টোবর মাসে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, যারা টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছেন, তাদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু তা মানেনি সিবিআই।
আরও পড়ুন- ‘মরার আগে যেন দেখে যেতে পারি!’ আদালতে কাতর আবেদন পার্থর, কী বললেন বিচারককে?
শুধু তাই নয়, টাকার বিনিময়ে যারা চাকরি কিনেছেন, এমন বেশ কয়েকজনকে এই মামলায় অভিযুক্ত না করে সাক্ষী করা হয়েছে। তাদের বয়ান উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। যাতে ক্ষুব্ধ সিবিআই আদালত।
কেন চার্জশিটে অভিযুক্তদের (টাকার বিনিময়ে যারা চাকরি পেয়েছেন) সাক্ষী হিসেবে দেখানো হল? তার ব্যাখ্যা দিতে হবে সিবিআইকে। যদি উত্তরে সন্তুষ্ট না হয় আদালত, তাহলে হাইকোর্টে বিষয়টি জানানো হবে বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন বিচারক।
একইসঙ্গে বিচারকের মন্তব্য, এই নির্দেশ সিবিআই ডিরেক্টর ও ডিআইজিকে দেখানো হোক। এবং ২ জুন ব্যাখ্যা দিক সিবিআই।