রিপোর্টে জানা গিয়েছে, অরবিন্দ মাইতির ভূগোলের নিয়োগপত্রের মেমো নং জালিয়াতি করে এতো বছর ধরে চাকরি করছেন অনিমেষ তেওয়ারি। প্রাথমিক রিপোর্টে এমনই চাঞল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বিষয়টি শুনে কার্যত বিস্ময় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, 'স্কুলের পড়ুয়াদের অবস্থা আমি শুধু ভাবছি। কী পড়ছে তারা! ২০১৯ সাল থেকে তিনি বেতন নিচ্ছেন''
advertisement
কর্মশিক্ষার শিক্ষক পদে অনিমেষ তেওয়ারির স্কুল রেজিস্ট্রার সহ যাবতীয় নথি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি জানিয়েছেন,
'প্রতিষ্ঠানিক দুর্নীতি না ব্যতিক্রমি দুর্নীতি সেটাই আদালতে খতিয়ে দেখতে চাই।' অভিযুক্ত শিক্ষক ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে আত্মপক্ষ সমর্থনে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অনিমেশ তিওয়ারি গোথা এ আর হাইস্কুলsj শিক্ষক। শিক্ষা দফতরের ওয়েবসাইট অনুযায়ী তিনি স্কুলের কর্মশিক্ষা শিক্ষক। তাঁর জন্মসাল ১৯৯৫। কর্মশিক্ষা নিয়োগের শেষ পরীক্ষা হয়েছিল ২০১২ সালে। মামলকারীদের প্রশ্ন, সেই হিসাবে ১৭ কিংবা ১৮ বছরে পরীক্ষা দিয়েছেন অনিমেশ তিওয়ারি। কিন্তু কর্মশিক্ষা শিক্ষক হওয়ার নূন্যতম বয়স ২০ বছর। ফলে তিনি কীভাবে চাকরি পেলেন ?
আরও পড়ুন, আজ রানাঘাটে মমতা-অভিষেকের পাল্টা সভা শুভেন্দুর, কী বার্তা দেবেন বিরোধী দলনেতা?
আরও পড়ুন, ওমিক্রনের BF.7 ভ্যারিয়্যান্ট ভয়ঙ্কর সংক্রামক! করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশকে 'দুই' পরামর্শ মোদির
আইনজীবী ফিরদৌস সামিম আদালতে অভিযোগ করেন, মুশিদাবাদের সুতির ওই স্কুল নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম ভরকেন্দ্র। এই নিয়োগ দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হলে অনেক বিষয় সামনে আসবে। তার পরেই আদালতে শুক্রবারের মধ্যেই প্রাথমিক রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। সেই রিপোর্টেই উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য।