এই চা বাগানগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে রয়েছে৷ দীর্ঘদিন পরিচর্যার অভাব, বেতন না পাওয়া, পিএফ না পাওয়া ও মেডিক্লেম না পাওয়ার অভিযোগ। প্রায় ১০০ জন চা শ্রমিক কলকাতার হেড অফিসে এসে বিক্ষোভ দেখান তারা।
advertisement
আজ কলকাতার ইউল হাউসে বিক্ষোভ কর্মসূচি করে চা শ্রমিকরা। সি.এম.ডি অনন্ত সিং-এর কাছে ডেপুটেশন দিতে আসেন তারা। এর আগেও বারবার জানিয়েছে সাংসদদের। চিঠিও করা হয়েছে কিন্তু ফলপ্রসূ হয়নি বলেই অভিযোগ। দিনের দিনের পর পরিচর্যায় অভাবে ভুগছে চা বাগান।
বানারহাট চা বাগানের একজন চা শ্রমিক আজাদ গোস্বামীর কথায়, চা বাগানই আমাদের বাড়ি, আমাদের কাজের জায়গাও চা বাগান। দিন-রাত এক করে আমরা চা বাগান বাঁচিয়ে রেখেছি। এখন আমাদের সেই চা বাগানে চলছে দুর্নীতি। কেন্দ্রীয় সরকার কেন এমন করছে জানি না। সি.এম.ডি বলছেন, কেন্দ্র থেকে কোনও ফান্ড পাওয়া যাচ্ছে না। তাই এভাবেই কাটছে দিন। তিনি অপরাগ তিনি এ বিষয়ে কিছুই করতে পারবেন না।
দৈনিক ১৩০০ টাকার বিনিময়ে চা বাগানে কাজ করেন তারা। তবে সেই টাকাও দিনের দিন মেলে না, ভাতাও বন্ধ। দিনের পর দিন কেন এমন অবহেলায় ভুগছেন চা শ্রমিকরা। তার সঠিক জবাব এখনও কেউ দেননি। যদিও জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের সাংসদদের বারংবার জানিয়েছেন চা শ্রমিকরা। ‘নীরব সাংসদ, নীরব কেন্দ্র সরকার’।
পারিবারিকভাবে চা বাগানে কাজ পাওয়া যেত এক সময়। এখন সেটাও বন্ধ। নতুন নিয়োগ হচ্ছে না। যারা চা বাগানের কাজ করেন তারা মেডিক্লেমও পান না। এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে কলকাতার ইউল অফিসে বিক্ষোভ দেখাছে নিউ ডুয়ার্স বাগান বাঁচাও কমিটির সদস্যরা।
