প্রসঙ্গত, গতকালই দলের অন্দরে সরব হন কুণাল৷ প্রথমে দলীয় পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন তিনি৷ এর পর কলকাতা উত্তরের সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হন কুণাল৷ সুদীপের সঙ্গে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যোগাযোগ নিয়ে অভিযোগ তোলেন তিনি৷
আরও পড়ুন: তৃণমূল ছেড়ে এবার অন্য দলে কুণাল ঘোষ? শোরগোল পড়তেই সব স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল নেতা
advertisement
কুণালকে সমর্থন করে তাপস রায় বলেছেন, ‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দল যদি ফের প্রার্থী করে আমি অন্তত প্রচারে থাকব না৷ এমন কি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আমাকে অনুরোধ করলেও আমার অবস্থান বদলাবে না৷’ তাপসের আরও অভিযোগ করেন, সারা বছর সাংসদ হিসেবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোনও প্রয়োজনেই পান না তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দারা৷ ভোটের চার মাস আগে থেকে তিনি সক্রিয় হন বলেও অভিযোগ করেন তাপস৷
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও সুদীপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তাপস৷ সাংসদ এবং বিধায়কের প্রকাশ্য সংঘাত নিয়ে সেই সময়ও অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল৷ তখন তাপসের মানভঞ্জনের জন্য কুণালকেই দূত হিসেবে তাঁর বাড়িতে পাঠিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব৷
তাপস রায় বরানগরের বিধায়ক হলেও তিনি বউবাজার এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা৷ ওই এলাকায় তাঁর রাজনৈতিক প্রভাবও যথেষ্ট৷ সেই সূত্রেই এলাকার সাংসদ হিসেবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সংঘাত৷ তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় শেষ পর্যন্ত কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের জন্য কার নাম থাকে, সেটাই এখন দেখার৷