প্রসঙ্গত, সৌগতবাবু বলেছিলেন, ‘ওর মতো স্বার্থপর লোক আমি দেখিনি। সাংসদ হওয়ার আগে একদিনও মিটিং মিছিলে দেখিনি। তৃণমূলের কোনও কর্মীর কোনও উপকার করেননি তিনি।’
একটি সাক্ষাৎকারে রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার তৃণমূল নেতাদের একাংশের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন৷ শরীর এক পাশ পচে গেলে ২০২৪ সালে বিজেপি-র সঙ্গে লড়াই অসম্ভব বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিলম্বে এদের বাদ দেওয়া উচিত বলেও দাবি তোলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: 'ক্ষমতা থাকলে ওই বিষয়ে হলফনামা দিন দেখি', বিকাশকে বেনজির আক্রমণ মমতার!
একই সঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, 'বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হচ্ছে এরকম দুর্নীতি দেখা যায় না। আমরা প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারিনি। বাড়ির লোক বলছে রাজনীতি ছেড়ে দেও। বন্ধুরা জানতে চাইছে, তুই এখনও আছিস? কত পেয়েছিস? এরকম লাঞ্ছনা জীবনে সহ্য করতে হয়নি।'
দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে এখন দলের আক্রমণের মুখে তৃণমূলেরই রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। মঙ্গলবার তাঁকে তুমুল আক্রমণ করেন তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ তথা মুখপাত্র সৌগত রায়। এমন কি, জহর সরকার চাইলে সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আর বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় জানিয়েছেন, 'ছাড়ব, ছাড়ব বলছে কেন? ছেড়েই দিন। আমি ওনার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলাম। ওনার বক্তব্যে আমি লজ্জিত। ওনার এই আচরণে লজ্জিত। ওনার কিছু বলার থাকলে উনি তো দলের মধ্যে ওনার মনের কথা মমতা বন্দোপাধ্যায়কে বলতে পারতেন। যে বন্ধুদের কথা এখন বলছেন, সেই বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করে কি ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওনার বক্তব্যে কোনও প্রভাব পড়বে না দলে।'
উল্লেখ্য, জহর সরকারকে রাজ্যসভায় যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার কথা উল্লেখ করে জহর সরকার বলেছেন, ‘যিনি আমাকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি যদি ক্ষুব্ধ হন এবং যদি চলে যেতে বলেন তাহলে আমি পদত্যাগ করব।’ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিতে জহর বাবুর বক্তব্য নিয়ে বিষয়টি আলোচনা হতে পারে।’