গত বুধবারই সিবিআইয়ের সমন পেয়ে নিজামে যান তাপস। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি দাবি করেন, "অফলাইনে ভর্তি হওয়া ৩২৫ জনের কাছ থেকে ১৯ কোটিরও বেশি টাকা তুলেছিলেন যুবনেতা কুন্তল ঘোষ।" সিবিআইয়ের সামনে যুবতৃণমূল নেতা সেই কথা স্বীকার করেছেন বলেও দাবি করেন মানিক ঘনিষ্ঠ। শুধু তাই নয়, তাপসের দাবি, সব মিলিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোট ১০০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল, এবং তা ভাগাভাগি হয়েছিল বেশ কয়েকজন তৃণমূলনেতার মধ্যে। সূত্রের খবর, তাপসের এই দাবির সত্যতা কতটা, সেটাই বোঝার চেষ্টা করছে সিবিআই।
advertisement
আরও পড়ুন: সাসপেন্ড হতে পারেন আইনজীবীরা, বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বিতর্কে তুঙ্গে বিতর্ক
বুধবার তাপস এবং কুন্তল, দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। পরে, বৃহস্পতিবার ফের তাপসকে নিজামে ডেকে পাঠানো হয়। তারপরে, ফের আজ, শুক্রবার। এই নিয়ে পর পর তিন দিন তাপসকে নোটিস দেওয়া হল সিবিআইয়ের তরফে।
অন্য দিকে, সিবিআই তলব করলেও শুক্রবার নিজাম প্যালেসে আসতে পারেননি কুন্তল ঘোষ। সূত্রের খবর, সিবিআই-কে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কাজ থাকায় এদিন তিনি নিজামে আসতে পারবেন না। বদলে শনিবার সময় চেয়েছেন অভিযুক্ত যুবনেতা। এই নিয়ে তাঁকে চার বার তলব করল সিবিআই।
আরও পড়ুন: রাতের গার্লস হস্টেলের বাথরুমে উঁকি মারছে কে? মারাত্মক ঘটনা কল্যাণীতে! ভোর হতেই বাইরে ছাত্রীরা
এর আগে ইডি-ও তাপস মণ্ডলকে ৫ বার তলব করেছে। গত ৭ জানুয়ারি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিটি সেশন কোর্টে ইডির বিশেষ আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচাৰ্যের স্ত্রী, মানিকের পুত্র এবং মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। তিন জনের নামই চার্জেশিটে রয়েছে ইডি-র চার্জশিটে।
ইডি-র আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, "অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং এচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তাপস মণ্ডল।" প্রার্থীদের কাছ থেকে তিনিই টাকা সংগ্রহ করতেন। গোটা বিষয়টাই হল প্রাথমিকের তৎকালীন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশে। দুর্নীতি সম্পর্কে সবটাই জানতেন তাপস।
এবার, মানিক ভট্টাচাৰ্য অফলাইনে যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন তাঁদের তালিকা সম্পর্কে তাপস মণ্ডলের কাছ থেটকে তথ্য পেতে চাইছে সিবিআই।
ARPITA HAZRA