গত ফেব্রুয়ারি মাসে দে পরিবারের দুই পুত্রবধূ ও নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয় বাড়িতে৷ ৪ মার্চ দে পরিবারের ছোট ছেলে প্রসূন দে গ্রেফতার হন। চলতি মাসে গ্রেফতার করা হয় বড় ছেলে প্রণয়কেও৷ গ্রেফতারির ৯০ দিনের মধ্যেই চার্জশিট জমা করতে চলেছে পুলিশ৷
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টের পরে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে একটি স্তম্ভে ধাক্কা খেয়েছিল প্রসূনদের গাড়ি। প্রণয় এবং প্রসূন দাবি করেছিলেন, আত্মহত্যা করার জন্যই ওই পদক্ষেপ করেছিলেন তাঁরা। পরে বাড়িতে উদ্ধার হয় দুই ভাইয়ের স্ত্রী ও কন্যা প্রিয়ম্বদার৷য
advertisement
আরও পড়ুন: নাতির কী নাম রাখলেন লালু? অর্থ জানালেন নিজেই…কলকাতায় জন্ম তেজস্বী যাদবের ছোট ছেলের
পুলিশি জেরার মুখে প্রসূন দাবি করেছিলেন যে, তিনি মেয়ে প্রিয়ম্বদাকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছিলেন। সেই সময়ে তাঁর স্ত্রী রোমি মেয়ের পা চেপে ধরেছিলেন। এ ছাড়া, প্রিয়ম্বদাকে খাওয়ানো হয়েছিল ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েসও। প্রিয়ম্বদার মৃত্যুর পর স্ত্রী এবং বৌদিকে তিনি খুন করেন।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে , প্রসূন দাবি করেছিলেন, তিন জনকে খুনের পরে প্রসূন উপরের তলা থেকে কিশোর প্রতীপকে নিয়ে আসেন প্রিয়ম্বদার ঘরে। ওই ঘরেই প্রতীপের হাত কাটা হয় বলে তাঁর দাবি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পরে প্রসূন নিজের হাত কেটে ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলের দিকে তিনি ঘুম থেকে ওঠেন। তার পরে সেই রাতে প্রণয় এবং প্রতীপের সঙ্গে গাড়িতে চেপে প্রসূন বেরিয়ে গিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টের পরে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে একটি স্তম্ভে ধাক্কা দিয়েছিল তাঁদের গাড়ি। প্রণয় এবং প্রসূন দাবি করেছিলেন, আত্মহত্যা করার জন্যই ওই পদক্ষেপ করেছিলেন তাঁরা। প্রতীপ জানিয়েছিল, কাকা তাকেও খুন করার চেষ্টা করেছিলেন।