প্রসূন দে বর্তমানে জেল হেফাজতে। গত সোমবার শিয়ালদহ আদালতে বিচারকের সামনে গোপন জবানবন্দি দেন ট্যাংরা-কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রসূন দে। দ্বিতীয় বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট শিবাশিস দে-র ঘরে গোপন জবানবন্দি দেন। যদিও হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন প্রণয় দে। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকেও গ্রেফতার করা হতে পারে।
advertisement
হাসপাতালে একাধিক বার প্রসূনের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তিনটি খুনই তিনি করেছেন। কিন্তু এর সঙ্গে দাদা প্রণয়ের যোগ রয়েছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। খুনের ষড়যন্ত্রেও তাঁর হাত ছিল। ফলে তাঁকেও হেফাজতে নেওয়া হতে পারে। তাঁর এবং প্রসূনের বয়ানের সঙ্গে নাবালকের বয়ান মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুনঃ দিঘায় এবারে বিরাট চমক! বেড়ানোর মজা বাড়ছে কয়েকগুণ, সৌজন্যে ভারতীয় রেল! কী হচ্ছে জানেন?
প্রসঙ্গত, গত মাসে বাইপাসে মেট্রোর স্তম্ভে ধাক্কা মারে দে পরিবারের গাড়ি। জখম হন প্রণয় দে, তাঁর ভাই প্রসূন এবং প্রণয়ের নাবালক ছেলে। তদন্তে নেমে ট্যাংরায় দে পরিবারের বাড়ি থেকে সুদেষ্ণা, রোমি ও প্রিয়ম্বদার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দে পরিবারের জীবিত তিন সদস্যকে। সেখান থেকে তাঁদের আনা হয় এনআরএস হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রী রোমি, বৌদি সুদেষ্ণা ও নিজের নাবালিকা মেয়ে প্রিয়ম্বদাকে খুনের কথা স্বীকার করে প্রসূন। জেরায় প্রসূন জানান, তিন জনের মৃত্যুর পর গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন দে পরিবারের দুই ভাই। গাড়িতে কিশোরও ছিল। তাঁদের গাড়ি বাইপাসের ধারে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গুরুতর জখম হন তিনজন।