শুক্রবার ফুটপাতের জায়গা বিক্রির অভিযোগ এল ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে। বিপুল টাকা খরচে সেই ডালা কিনলেও সেখানে হকারি করতে দিচ্ছে না ইউনিয়ন নেতারা। কান্নায় ভেঙে পরে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে অভিযোগ করলেন মণিকা জানা নামে এক মহিলার।
‘টক টু মেয়র’ প্রোগ্রামের প্রথম দিকেই এমন ফোন আসে। চার নম্বরে ফোন করেন মনিকা জানা। কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের রতনবাবু ঘাট রোডের বাসিন্দা মণিকা জানা ফোন করেন মেয়রকে। কান্নায় ভেঙে পরে তিনি মেয়রের কাছে অভিযোগ করেন, ‘‘অনেক কষ্ট করেছি দাদা, শ্যামবাজার গান্ধি মার্কেটে একটা ডালা নিয়েছিলাম। আমাকে যে জায়গাটা দিয়েছে সে দেড়লাখ টাকা নিয়েছে। আমার কাছে সব কাগজ আছে। কিন্তু সেখানে বসতে গেলে বাধা দেয়। একটা ছেলে হয়ে আমার গায়ে হাত তুলল, কেউ কিছু বলল না। আমার ছেলেটা শ্যামবাজার ঢুকতে পারছে না। তালা ভেঙে নিয়ে নিয়েছে। ঢুকতেই দিচ্ছে না।’’
advertisement
আরও পড়ুন- রাশিফল ১৮ ফেব্রুয়ারি; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
মহিলার অভিযোগ শুনে মেয়র বলেন, ‘‘আমার প্রশ্নের উত্তর দিন। এটা কোন জায়গায়? ’’ মহিলা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘‘১০ নম্বর ওয়ার্ডে।’’ আরও বলেন, ‘‘আমি ওখানে কাজ করে খেতাম ছেলেকে নিয়ে।’’
মেয়র তাকে আশ্বস্ত করে বলেন, আপনি শ্যামপুকুর থানার ওসির কাছে যান। আমি বলার পরে যান। উত্তরে মহিলা জানান, গিয়েছিলাম। লাভ হয়নি।
এর পর মেয়র ফোনে ওই মহিলাকে বলেন, ‘‘আমি বলে দিচ্ছি এর পর ব্যবস্থা না নিলে আমায় জানাবেন, আমি ব্যবস্থা নেব ওসির বিরুদ্ধে।’’ মহিলা শুনে বলেন, ‘‘অনেক প্রণাম। আমার ছেলে যাতে কাজ করে খেতে পারে আর কিছু চাই না।’’
টক টু মেয়রে কথোপকথন শেষ হলে ফিরহাদ বলেন, দেড় লাখ টাকা দিয়ে এরা ডালাও কিনছে ৷ পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মেয়র ফিরা হাকিম বলেন, হকারদের আইন অনুসারে ডালা বিক্রি করা যায় না। এটা টাউন ভেন্ডিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে। যে এই কাজ করেছে তাকে গ্রেফতার করতে হবে।
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরোসভা কলকাতা পুলিশ ও টাউন ভেন্ডিং কমিটি শহরের হকারদের সার্ভে করার কাজ এক দফায় শেষ করেছে। দফায় দফায় পুরো শহর জুড়ে এই সমীক্ষার কাজ করা হবে। টিভিসি (টাউন ভেন্ডিং কমিটি ) সার্ভে অনুসারে যাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে তাতে একটি কিউ আর কোড থাকবে। টিভিসির সদস্যরা আচমকা অভিযান করবে। যদি দেখে কোড স্ক্যান করে ওই ব্যক্তি হকারি করছেন না, ডালা ভাড়া দিয়েছে অন্য কাউকে তাহলে পরিচয়পত্র বাতিল করা হবে।