প্রসঙ্গত পুজোর আগেই খুলতে চলেছে টালা ব্রিজ এমনটা ইঙ্গিত রাজ্যের পূর্ত দফতর দিয়েছিল দু’মাস আগেই। যদিও কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল এই ব্রিজকে কেন্দ্র করে। অবশেষে এই জটিলতা কেটেছে। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, প্রথমেই এই সেতু দিয়ে ভারী যান চলাচল করতে দেওয়া হবে না। পরিবর্তে শুধুমাত্র দুই চাকা বা চার চাকার গাড়িই চলাচল করবে। ধাপে ধাপে মাসখানের মধ্যেই ভারী যান চলাচলের অনুমিত দেওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- জেলবন্দিই কাটবে নিজের পুজো, তবু রাজ্যবাসীকে শারদ-শুভেচ্ছা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
পূর্ত দফতরের কর্তাদের কথায়, নব নির্মিত এই সেতু কতটা নিরাপদ আইআইটি খড়গপুর ও রেলের বিশেষজ্ঞরা আলাদাভাবে তা খতিয়ে দেখেছে। তাদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ ও নেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তিগতভাবে কতটা ভারবহণের উপযুক্ত হয়েছে তার ও রিপোর্ট দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। এই রিপোর্ট পাওয়ার পরই পূর্ত দপ্তর থেকে সেতু উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সময় চায় রাজ্যের পূর্ত দফতর ৷ পাশাপাশি পূর্ত দফতরও এই সেতুর ভারবহণ ক্ষমতা আলাদাভাবে পরীক্ষা করার পরই সব ধরনের যান চলাচলের অনুমতি দেবে। সেটা হবে পুজোর পর। তার আগে সেতু উদ্বোধন করে হালকা যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার প্রধান যোগ সূত্র এই ১০৯ বছরের পুরনো এই সেতু দুর্বল হয়ে ড়ায় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরের মাস থেকে নতুন করে এই সেতু নির্মাণের জন্য ভেঙে ফেলা হয়। এই নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে সাড়ে তিনশো কোটি টাকা। রেলের অনুমতি মিলতে কিছুটা দেরি হওয়ায় নির্মাণ কাজে দেরি হয়ে যায়।অবশেষে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরে উদ্বোধন হতে চলেছে নয়া এই ব্রিজের।