২০২২ এর তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কি উঠে এসেছিল? কী ভাবে টাকা গায়েবের ঘটনা ঘটছিল? কলকাতা পুলিশ কী তদন্ত করেছিল? তার বিস্তারিত রিপোর্ট চাইলেন নবান্নের শীর্ষ পর্যায়ের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-বাড়িতে বাথরুম আর টয়লেট পাশাপাশি? দাম্পত্য কলহ, বেকারত্ব পিছু ছাড়বে না! কী উপায়? জেনে নিন
advertisement
কিছু দিন আগেই ট্যাবের টাকা গায়েব নিয়ে হইচই হচ্ছিল। পূর্ব বর্ধমানের পড়ুয়াদের জন্য পাঠানো ট্যাবের টাকা নাকি চলে গিয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমানের ৫২২ জন পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পাননি। সে নিয়ে তদন্ত চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সব মিলিয়ে চাপানউতোর চলছে জেলা প্রশাসনের অন্দরে।
রাজ্য সরকারের ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা এককালীন দশ হাজার টাকা পান ট্যাব কেনার জন্য। পুজোর ছুটির আগেই রাজ্যের স্কুলগুলি নির্দিষ্ট পোর্টালে আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু দিন কয়েক আগে ‘অদ্ভুত’ ঘটনা ঘটে পূর্ব বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলে। চলতি বছরে ওই স্কুলের ৪১২ জন পড়ুয়ার জন্য ট্যাবের টাকার আবেদন করা হয় বলে জানান প্রধানশিক্ষক মিন্টু রায়। কিন্তু ২৮ জন পড়ুয়া জানান, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢোকেনি। খোঁজ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষই জানতে পারেন অভিযোগ সঠিক। ঘটনাক্রমে শিক্ষা দফতর এবং সাইবার থানায় অভিযোগ জানানো হয়।
প্রধানশিক্ষক বলেন, ‘‘গত ২১ এবং ২২ অক্টোবর, দু’দিন ফোন করে স্কুলের ১৭ জন পড়ুয়া জানায় আমাদের জানিয়েছে যে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্যাবের ১০ হাজার টাকা ঢোকে নি। স্কুলের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি জানানো হয় ডিআই, অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) এবং ডিপিওকে। ডিআইয়ের পরামর্শে সাইবার থানাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’ পাশাপাশি স্কুলের পক্ষ থেকে মোট ২৮ জন পড়ুয়াকে ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়েছিল। ব্যাঙ্কে গিয়ে পড়ুয়ারা জানতে পারেন, তাঁদের ট্যাবের টাকা অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে।