এখানেই শেষ নয়। শিল্প সম্মেলন নিয়ে আরও বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে নবান্নের নির্দেশিকায়। এর আগে এই ধরনের জেলাভিত্তিক সিনার্জির মাধ্যমে যে বিনিয়োগগুলি এসেছে, তা কতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, অথবা বর্তমানে তা কোন অবস্থায় রয়েছে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। এ ছাড়াও, নবান্ন সূত্রে খবর, জেলাভিত্তিক বিনিয়োগের সম্ভাবনা, বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য কোন কোন জেলায় কী কী পরিকাঠামো রয়েছে, তা নিয়ে এই সেমিনারগুলিতে বিশেষ আলোচনা হতে চলেছে। রাজ্যের বেশিরভাগ দফতরের আধিকারিকদের এই সম্মেলনগুলিতে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কাল ছিলেন বিজেপির সভায়, আজ তৃণমূল নেতৃত্বের পাশে, বীরভূমের সমরকে ঘিরে রহস্য
আগামী ১৪ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে এই জেলাওয়াড়ি শিল্প সম্মেলন। তারপর পশ্চিম বর্ধমান ও পূর্ব বর্ধমান ধরে আসানসোলে শিল্প সম্মেলন হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর। তারপরে ২৩ ডিসেম্বর বীরভূম জেলায়।
এরপরে আগামী বছরের ১১ জানুয়ারি হুগলি জেলায় হবে এই সিনার্জি। পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলা নিয়ে পুরুলিয়ায় সম্মেলন হবে ২০ জানুয়ারি। ৩১ জানুয়ারি হবে হাওড়া জেলার এই বিশেষ কনক্লেভ। নদিয়া জেলায় ৯ ফেব্রুয়ারি, মুর্শিদাবাদে ১০ ফেব্রুয়ারি, মালদায় ১১ ফেব্রুয়ারি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি, পূর্ব মেদিনীপুরে ১১ মার্চ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামকে একসঙ্গে নিয়ে ১৪ মার্চ।
আরও পড়ুন: 'তৃণমূলের জন্যই ঠাকুরবাড়ির অনেকের প্রাণহানি হয়েছে', শান্তনুর মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়
দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলাকে কেন্দ্র করে দার্জিলিং জেলায় কনক্লেভ হবে ২৭ মার্চ, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার এই তিন জেলাকে একসঙ্গে নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলায় হবে ২৯ মার্চ এবং উত্তর দিনাজপুর দক্ষিণ দিনাজপুর এই দুই জেলাকে একসঙ্গে নিয়ে উত্তর দিনাজপুর হবে ৩০ মার্চ। এ ভাবেই বিভিন্ন জেলায় জেলায় শিল্প সম্মেলনের আয়োজন করা হবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
এর আগেও রাজ্যজুড়ে এই ধরনের সিনার্জি হয়েছে। তাতে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে বিনিয়োগ এসেছে বলে দাবি নবান্নের। তবে এবারের এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিশেষ তৎপরতা শুরু হয়েছে নবান্নের শীর্ষ মহলে।