স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে এই কাজে এগিয়ে এসেছে মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতাল। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে যাতে হার্টের এই অস্ত্রোপচার হয় তারজন্য পরিবারের তরফে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করেন তৃষার পরিবার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, যাতে ওই তরুণী নতুন জীবন পায়, হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট হয় তার জন্য দরকার প্রচুর অর্থের, কিন্তু পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় হলে বিপুল খরচের ধাক্কা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবে পরিবার। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ পদস্থ এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিশেষ ঘটনা হিসাবে ধরে নিয়েই এই প্রতিস্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
advertisement
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়! বাংলার কোন জেলায় কী হতে চলেছে, আগাম জেনে নিন
মুকুন্দপুরের এই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে ফেসিলিটি ডিরেক্টর আশিস মুখোপাধ্যায়ের জানান, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় এই প্রথম এই হাসপাতালে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন হবে। হার্ট প্রতিস্থাপন করার কথা সিটিভিএস বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. কে এম মন্দনার। ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফেও স্বাস্থ্য ভবনে আবেদন করা হয়েছিল তরুণীর হার্ট প্রতিস্থাপনের জন্য। আশিস বাবুর কথায়, হাসপাতালের তরফে প্রস্তুতি নেওয়ার কাজ চলছে। প্রতিস্থাপনযোগ্য হার্ট পেলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন: এমন উপহার আশাও করেননি, বীরভূমে মমতার হাতে যা দিলেন নেতাকর্মীরা, অবাক যাত্রীরা
হার্ট প্রতিস্থাপন প্রচন্ড খরচ সাপেক্ষ একটি অস্ত্রোপচার। বহু পরিবার তাই অস্ত্রোপচার করানো থেকে ফিরে আসেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ঘিরে ভহু অভিযোগ উঠে আসে বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সেখানে দাঁড়িয়ে এই প্রথম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সাহায্যে হার্ট প্রতিস্থাপন হবে বেসরকারি হাসপাতালে। ফলে বহু মানুষের কাছেই উদাহরণ হিসাবে থেকে যাবে এটি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন ভবিষ্যতে যদি কেউ এই কার্ডের সাহায্যে আবারও হার্ট প্রতিস্থাপন করাতে চান, তাহলে স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।