স্বাস্থ্যসাথী (Swastha Sathi) সমিতির তরফে দু’টি অ্যাডভাইজারি জারি করা হয়েছে। একটি মূলত বেসরকারি হাসপাতাল এবং নার্সিংহোমগুলির জন্য। দ্বিতীয় অ্যাডভাইজারিটি সরকারি হাসপাতালের জন্য।
প্রথম যে অ্যাডভাইজারিতে বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে ১৯০০-এর বেশি ‘স্পেসিফায়েড প্যাকেজ’ রয়েছে। অর্থাৎ যে রোগই হোক না কেন, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় এরকম ১৯০০ প্যাকেজ রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য সমিতি সেলের পর্যবেক্ষণ, প্যাকেজ বহির্ভূত টাকা নিয়ে রোগীর চিকিৎসা করছে একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল। প্যাকেজ বহির্ভূত এই খরচ নিয়েই অ্যাডভাইজারিতে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
advertisement
বলা হচ্ছে, রোগীর যে রোগই হোক না কেন, তা কোনও না কোনও প্যাকেজের আওতায় অনায়াসে চলে আসে। যদি এমার্জেন্সি হয়, সে ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মেডিসিন ও সার্জারিতে প্যাকেজ বহির্ভূত বিল করা যাবে।
আরও পড়ুন-পুজো মিটতেই বাড়ছে করোনা, যে ব্যবস্থা নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা
অন্যদিকে সরকারি হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে কোনও রোগী এলে তাঁকে ইনডোরে ভর্তি করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী (Swastha Sathi) বা অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রকল্পের কোনও কার্ড থাকলে তার আওতাতেও আনতে হবে।
সুবিধে পাওয়ার জন্য মূলত রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় হেলথ স্কিম বা ইএসআই কার্ড থাকলেও তার আওতায় রোগীকে আনতে হবে
যদি রোগীর পরিবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আনতে ভুলে যান সেক্ষেত্রে আধার কার্ডের নম্বর ধরে রোগীকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় ভর্তি করার কথা বলা হয়েছে। যদি কোনও কার্ড রোগীর কাছে না থাকে তা হলে হাসপাতাল থেকেই সক্রিয় হয়ে রোগীর কার্ড ইস্যু করার কথাও বলা হয়েছে।
সোমবারই মুখ্যমন্ত্র বলেন, অনেক নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড অবহেলা করছে। সরকারি প্রকল্পকে মান্যতা দিতেই হবে। না হলে তো তাদের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। তারপরেই আজ এই কড়া নির্দেশ।