প্রাথমিক পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে, বয়সজনিত কিছু কারণ ছাড়া আর কোনও রোগ নেই তাঁর। সব থেকে বড় বিষয় একজন সাধারণ মানুষের যে বয়সে ইন্দ্রিয়ক্ষয় হয়, ১২৬ বছর বয়সেও তাঁর প্রত্যেকটা ইন্দ্রিয় এখনও সম্পূর্ন ভাবে সচল। চিকিৎসকদের মতে, তিনি যেভাবে নিয়মমাফিক জীবন কাটিয়েছেন, তা যে কোনও মানুষের পক্ষে কাটানো অত্যন্ত কঠিন।
advertisement
১২৬ বয়সে এরকম ভাবে হেঁটে চলে বেড়ানোর রহস্য কী? স্বামী শিবানন্দের কথায়, "যোগব্যায়াম কর, পরিমাণ মতো খাও আর মাথায় কোনও দুশ্চিন্তা রেখো না।" ১৮৯৬ সালের ৮ অগাস্ট বাংলাদেশের সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন স্বামী শিবানন্দ। পরিবার বলতে বাবা, মা এবং এক বোন।ছোটবেলাতেই পরিবারকে হারিয়েছিলেন তিনি। সন্ন্যাস নিয়ে চলে আসেন নদিয়ার নবদ্বীপে।
১৯৭৯ সালে চলে যান বেনারসে। সেই থেকে জীবন কাটাচ্ছেন সেখানেই। ১২৬ বছর ধরে একই ভাবে জীবন কাটাচ্ছেন তিনি। ঘুম থেকে ওঠেন রাত আড়াইটে নাগাদ। উঠেই প্রায় দু ঘন্টা হাঁটাচলা, তার সঙ্গে চলে বিভিন্ন মন্ত্রপাঠ। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের যোগব্যায়াম।
স্বামীজী জানান, "আমি বেশি করে নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করি। সর্বাঙ্গাসন, সূর্য নমস্কার, পবন মুক্তাসনের দিকে বেশি নজর দিই।" সারাদিন হেঁটে চলে বেড়ান, শিষ্যদের সঙ্গে কথা বলেন। শুয়ে পড়েন রাত ৯টা নাগাদ। খাওয়া বলতে সেদ্ধ ভাত আর সেদ্ধ সবজি।
আরও পড়ুন, 'সৌজন্যকে দুর্বলতা ভাববেন না,' চায়ের আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে শুভেন্দুকে তোপ শান্তনুর
প্রতি বছর একবার করে ডাক্তার দেখাতে আসেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানালেন, স্বামীজির চিকিৎসার জন্য আট জনের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছিল। প্রত্যেকটা রিপোর্ট ভালোর দিকে। বয়সজনিত কিছু সমস্যা ছাড়া স্বামীজি একেবারে সুস্থ।
আরও পড়ুন, নিউজ18 বাংলা-র খবরের জের! ফুটপাতে থাকা মাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেল ছেলে
কয়েকদিন আগেই কলকাতা প্রেস ক্লাবে স্বামীজিকে পিস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি সংস্থা। তাছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।