গান্ধি মূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের প্রতিবাদ মঞ্চ খোলা নিয়ে ভারতীয় সেনার কার্যত সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্যের বিরোধিতায় প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের একাংশ বৃহস্পতিবার ধর্না দিচ্ছে। এ জন্য পুলিশি অনুমতি না পেয়ে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
advertisement
এই আবেদনে, আদালত শর্তসাপেক্ষে তাঁদের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই শর্তে বলা ছিল, কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা তাঁদের ধর্না মঞ্চে আসতে বা থাকতে পারবেন না। তাহলে শুভেন্দু কীভাবে যোগ দিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর বিজেপি বিধায়ক নিজেই দিয়ে দিয়েছেন।
তাঁর স্পষ্ট কথা, “কোনও দলের নেতা হয়ে নয়, আমি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে এখানে এসেছি। সুতরাং কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না, বরং, আমরা নিয়ম-কানুন, আদালত মেনেই চলি।”
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এমন ভাব করেন যেন এটা আলাদা একটা রাষ্ট্র এবং তিনি এর প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দেশবিরোধী মনোভাব স্পষ্ট।” শুভেন্দুর কথায়, ভারতীয় সেনা কাউকে ভয় পায় না। তাঁদের চিন ভয় পায়, পাকিস্তান পা ধরে। সুতরাং, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তাঁরা পালিয়ে যাবেন, এটা কখনই হতে পারে না। তাঁর সংযোজন, দেশের মধ্যে যেমন অনেক ‘টুকরে-টুকরে’ গ্যাং রয়েছে, মমতা আচরণও ঠিক তেমন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভারতীয় সেনাকে অপমান করার সাহস দেখিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জবাব মানুষ দেবে। এই প্রেক্ষিতেই তিনি তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন। এই অবস্থান-বিক্ষোভ করতে চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন সেনা আধিকারিকরা। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও অনুমতি দেয়নি। কারণ হিসেবে জানানো হয়েছিল, সেখানে বিদ্যুতের কাজ চলছে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট আবেদনকারীদের অনুমতি দিয়েছে।