আদতে এমন কাজ করে বাংলার পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বড়সড় হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। স্পষ্ট বলেছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে যদি জয়েন্টের ফল রাজ্য সরকার প্রকাশ না করে বা প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু না করে তাহলে আগামী সপ্তাহে বিকাশ ভবনের সামনে তাঁরা ধর্নায় বসবেন। কারা থাকবে এই ধর্নায় তাও স্পষ্ট করেছেন শুভেন্দু।
advertisement
জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়করা তো থাকবেনই, একই সঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষাবিদদের নিয়ে ধর্না কর্মসূচি করা হবে। আর এক্ষেত্রেও যদি পুলিশি অনুমতি না মেলে তাহলে হাইকোর্টে যাওয়ার কথাও বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। উচ্চ মাধ্যমিকের তিন মাসের পরও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি চালু হয়নি। আর এখন পর্যন্ত জয়েন্টের ফল প্রকাশ করেনি রাজ্য সরকার। এতদিন আইনি জটিলতা থাকলেও সম্প্রতি ফলপ্রকাশে বাধা নেই বলেই জানায় আদালত।
তারপরও সেই ফল প্রকাশ না হওয়ায় তেড়েফুঁড়ে উঠেছে বিজেপি। কেন জয়েন্টের ফলপ্রকাশ হচ্ছে না, এর দুটি কারণ ব্যাখ্যা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বিধায়কের কথায়, জাতীয় ওবিসি তালিকার বাইরে থাকা ৭৬টি মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভোটব্যাঙ্কের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই তালিকায় ঢোকাতে চায়। একই সঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও যাতে এরা বঞ্চিত না হয়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
ফলত, সকল পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ জলাঞ্জলির পথে। এই প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছে শুভেন্দু আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। বিরোধী দলনেতার কথায়, ”বিগত কয়েক বছরে চিটফান্ড উঠে গেছে ইডি-সিবিআইয়ের চাপে। তাই এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবসা চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী! যত সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়বে, তত মমতার ঘনিষ্ঠদের প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়বে, ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠবে।” তাঁর দাবি, এইভাবে ১ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করার সুযোগ দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে জানিয়েছেন তাঁরা।
সুস্মিতা মণ্ডল