আরও পড়ুন– সিবিআই-এর নজরে সন্দীপের প্রাইভেট প্র্যাকটিস! সেখান থেকে কত আয় হত সন্দীপের ?
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি নড়াতে হয় তাহলে ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানের ধাঁচে আন্দোলন করতে হবে।’’ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে দিনের পর দিন অবস্থানে বসে থেকেও যে কোনও লাভ হবে না তা স্পষ্ট জানিয়ে শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কোনও অনুভূতি নেই। নন্দীগ্রামে আমার কাছে পরাজিত হওয়ার পর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতাকে পদত্যাগ করিয়ে যিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তাঁর একটাই অনুভূতি, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকা। প্রতিরোধের মাধ্যমে কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী তথা সরকারকে নড়াতে হবে তা আমরা জানি। সেই প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন– রাশিফল ১২ সেপ্টেম্বর: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
আগামী ১৮ তারিখ সুপ্রিম কোর্টের শুনানি পর্যন্ত বাংলার মানুষকে ধৈর্য ধরতে বলে বিরোধী দলনেতা বললেন, ‘‘অনেক সহ্য আমরা করেছি। নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র যুবদের সঙ্গে অমানবিক অত্যাচার করা হয়েছে। কিন্তু আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তারা মুক্ত হলেও তাদের লড়াইয়ের মানসিকতাকে আমি স্যালুট জানাই।’’
আইসিসিআর সেমিনার হলে তথাগত রায়ের একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলকে তীব্র ভাষায় নিশানা করে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে জানান, ‘‘নন্দীগ্রাম এবং নেতাই- জঙ্গলমহল দুটো সফল গণ আন্দোলনের আমি নেতা ছিলাম বলছি না, তবে সেই আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলাম। সেই আন্দোলন করার সুবাদে আমার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। আমার সহকর্মীদের নিয়ে সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি জানি কী করতে হয়। সেটাই করব।’’
পাশাপাশি এদিন শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘সমস্ত চাকরিপ্রার্থী সংগঠনের সঙ্গেও আমি কথা বলছি। সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে খুব বড় করে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’’ সাম্প্রতিক নবান্ন অভিযান থেকে নন্দীগ্রাম জঙ্গলমহলের মতো একপ্রকার ‘আমিষ’ আন্দোলনই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার একমাত্র বিকল্প পথ বলেই মত শুভেন্দুর।