প্রসঙ্গত, একশো দিনের কাজের টাকা আদায়ে দিল্লিতে ধরনা দিয়েছিল তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। সেখানেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী স্বাধ্বী নিরঞ্জন সম্পর্কে কুকথা বলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, এমনই অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তোপ দাগেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এক্স হ্য়ান্ডেলে লিখেছিলেন, একজন নারী সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করাটা একজন এমপির পক্ষে শোভন নয়। তিনি আবার চিকিৎসকও। ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একজন স্বাধ্বী। কিন্তু এটাই হল এখন তৃণমূলের সংস্কৃতি। তাঁর বসেরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করেন। আগামী ভোটে তাঁর টিকিট সুরক্ষিত করার জন্য বসেদের খুশি করতে তিনি এসব বলছেন। বর্তমানে নীচের স্তরের টিএমসির কর্মচারীরা বসেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এসব করছেন। আমি আশা করি বারাসতের শ্রদ্ধেয় ভোটাররা এই অশালীন ভাষাটা খেয়াল করবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘পা সরু হয়ে যাচ্ছে’, অনুব্রতর জীবনে নয়া বিপদ! বিচারকের নির্দেশেও মাথায় হাত কেষ্ট-সুকন্যার
শুভেন্দু সংযোজন করেন, তিনি ও তাঁর বসেরা যে ভাষা বোঝেন তাতেই আমি জবাব দেব। আমি ভালো করেই জানি এমজিএনআরইজিএর ফান্ড আমার শ্রদ্ধেয় বাবার নয়, এটা দেশের মানুষের। কিন্তু সেই সঙ্গে এটা আপনার বা আপনাদের বসেদের বাবাদেরও নয় যাতে লুঠ করা যায়।
আরও পড়ুন: ‘রবি রাতে মমতার বাড়িতে গোপন বৈঠক, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে…’ তোলপাড় ফেলা দাবি শুভেন্দুর
প্রসঙ্গত দিল্লিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী স্বাধ্বী নিরঞ্জনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা। কিন্তু সেখানে তাঁর দেখা পাননি তাঁরা। এরপর কলকাতায় এসে রাজভবনের সামনে ধর্না। এবার সেই প্রেক্ষিতে করা একের পর এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরোধী দলনেতাকে নোটিস পাঠালেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার।