মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিডিয়া ট্রায়াল নিয়েও সরব হওয়া প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী রবিবার বললেন, ‘‘চাকরি বিক্রি-সহ যেভাবে সংবাদমাধ্যম বিভিন্ন দুর্নীতি জনসমক্ষে তুলে ধরছে সে কারণেই সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখাচ্ছেন উনি। সাংবিধানিকভাবে যে স্তম্ভ গুলোর উপর গোটা সংবিধান দাঁড়িয়ে আছে তার মধ্যে চতুর্থ স্তম্ভ অন্যতম। সংবাদমাধ্যম একের পর এক দুর্নীতি ফাঁস করাতেই মুখ্যমন্ত্রী আতঙ্কিত ও ভীত হয়েই এমন বক্তব্য পেশ করেছেন।’’
advertisement
আরও পড়ুন- 'অ্যাক্ট অব ফ্রড' তত্ত্ব? সেতু বিপর্যয়ে মোদিকে ২০১৬-র বাংলা স্মরণ করালেন দিগ্বিজয় সিং
প্রসঙ্গত, রবিবার নিউ টাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে পশ্চিমবঙ্গ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুরিডিক্যাল সায়েন্সেসের ১৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আমি বলছি না যে মানুষ বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে, কিন্তু আজকাল দেখা যাচ্ছে এটি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ মানুষকে বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচায়।''মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, '‘‘জনগণের কান্না শুনতে হবে। মানুষ দরজার আড়ালে কাঁদছে। আজকাল অনেক কিছুই চলছে। রায়ের আগে মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। তারা যে কাউকে অভিযুক্ত করতে পারে? আমাদের সম্মান না থাকলে কিছু থাকে না। আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে বাঁচান। অহেতুক হয়রানি চলছে প্লিজ গণতন্ত্র বাঁচান।’’
বস্তুত এর আগেও বিচার ব্যবস্থায় বিজেপির হস্তক্ষেপ নিয়ে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি না হলেও আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে কেন্দ্রের শাসক দল। এদিনও তার অন্যথা হল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বজায় থাকা উচিত। কিন্তু তা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। মানুষের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। দেশের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব-সহ বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্যদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘গণতন্ত্র বাঁচান। গণতন্ত্র হরণ করা হচ্ছে। মানুষের অধিকার বাঁচান। বিচারব্যবস্থা মন্দির মসজিদের মত। শান্তি কায়েম করার জন্য। মানুষের স্বাধীনতার জন্য।’’ আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জবাব, ‘‘উনি ভয় পেয়েছেন। উনি এবং ওনার গোটা টিম দুর্নীতি নিয়ে আতঙ্কিত।’’