সভায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের আসার ব্যাপারে শুধুমাত্র বাধা দেওয়াই নয়, তৃণমূল আশ্রিত সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যানবাহনে ভাঙচুর আগুন ধরানোর পাশাপাশি বহু কর্মী সমর্থককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। রেয়াত করা হয়নি শিশুদেরও। সেই তাণ্ডবেই আহত হন বেশ কয়েকজন বলে দাবি করেন শুভেন্দু।
advertisement
সোমবার সন্ধ্যায় সেই সব আহতর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী চিকিৎসাধীন কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তখনই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার বার্তা দেন শুভেন্দু। হাসপাতালে যাওয়ার আগে এদিন রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে পুলিশ তথা সরকারকে তোপ দেগে বিরোধী দলনেতা বলেন, " হটুগঞ্জের ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইঙ্গিত করে শুভেন্দু বলেন, মহা প্রভাবশালীর নির্দেশে পুলিশের সামনেই তাণ্ডব চালিয়েছে শাসক দলের হার্মাদ বাহিনী।"
আরও পড়ুন : রাজস্থানের পুষ্করের মন্দিরে আজ দুপুরে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে শুভেন্দু বলেন, " আদালতের নির্দেশমতো আমার যাত্রাপথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করলেও পুলিশ ও তৃণমূল মিলে কৌশলগতভাবে দলীয় কর্মী সমর্থকদের আমার সভায় আসতে বাধা দিয়েছে। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল-সহ একাধিক নেতা কর্মীর নামে মিথ্যে মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রত্যেকের জামিন হয়ে গেলেই দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে ব্যাপক জমায়েত করে আমরা এর প্রতিবাদ জানাব। সেই প্রতিবাদের আওয়াজ এমন তীব্র হবে যাতে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কান পর্যন্ত পৌঁছয়।"
আরও পড়ুন : রাজস্থান সফরে আজ আজমের শরিফে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলার অভিযোগ তুলে চলতি মাসেই সুন্দরবন, কুলপি থানা অভিযানেরও এদিন ডাক দেন শুভেন্দু। প্রসঙ্গত, চিকিৎসাধীন আহত ও গ্রেফতার হওয়া দলীয় কর্মী সমর্থকদের আইনি সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের চিকিৎসার খরচ বহন করার কথাও জানান শুভেন্দু অধিকারী।