কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কয়েক মাস আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে এসে এক জনসভায় বলেছিলেন, সবাই করোনার টিকা পেলেই সিএএ কার্যকর করার পথে হাঁটবে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, বাংলার প্রায় ৮৩টি বিধানসভা আসন মতুয়া প্রভাবিত। এর মধ্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ৫৩টি আসনে জেতে তৃণমূল। ৩০টিতে বিজেপি।রাজ্যে বিজেপির প্রাপ্ত আসনের প্রায় ৩৯% মতুয়া প্রভাবিত। কিন্তু, সিএএ আজও চালু হয়নি। এর জেরে মতুয়াদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, বেসুরো হন বঙ্গে বিজেপির মতুয়া মুখ শান্তনু ঠাকুরও।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আমাদের সংসার চলে না, আর পার্থ চুরি করে গেছেন', জুতো ছুড়ে শান্ত শুভ্রার তীব্র আক্রমণ
হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার সম্প্রতি বলেন, আমার কেন্দ্রের ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সিএএ- এর। অবিলম্বে সিএএ লাগু না হলে মানুষের কাছে আর ভোট চাইতে যেতে পারবো না'। পদ্ম শিবির সাময়িক ভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারলেও মতুয়ারা সিএএ’র দাবিতে আজও অনড়। এখনও পর্যন্ত CAA কার্যকর না হওয়ায় রীতিমতো অস্বস্তিতে এ রাজ্যের পদ্ম নেতারা। আর সে কারণেই বঙ্গ বিজেপির নেতারা বারবার দরবার করছেন কেন্দ্রের কাছে যাতে অবিলম্বে সিএএ লাগু করা যায়।
আরও পড়ুন: অর্পিতা-কাণ্ডের মধ্যেই বারাসাতে উদ্ধার কেজি-কেজি সোনা, দাম শুনলে আঁতকে উঠবেন!
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা বারবারই বলে থাকেন যে, ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্যে লাগু হবে সিএএ। এই প্রেক্ষাপটে অমিত শাহর কাছে ফের সিএএ অবিলম্বে লাগুর আর্জি জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। নাগরিকত্ব সংশোধন নিয়ে শুরু থেকেই চাপানউতোর। উনিশের লোকসভা ভোটের পর আইন তৈরি হয়। কিন্তু, সেই আইন, সিএএ, আজও কার্যকর হয়নি। দুয়ারে সেমিফাইনাল পঞ্চায়েত। তারপর ফাইনাল লোকসভা ভোট। আবারও বিজেপির সিএএ দরবার। বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের বড় অংশ তপসিলি জাতিভুক্ত মতুয়া। তাঁদের দাবি, স্থায়ী নাগরিকত্ব। গত কয়েকবছরে এই নাগরিকত্ব ইস্যুতেই হয়েছে বিস্তর চাপানউতোর। দাবি, ক্ষোভ ,আন্দোলন আর আশ্বাসের শেষ কোথায়? উত্তর দেবে সময়ই।