তৃণমূলকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, “আপনারা বলেন বাংলা থেকে কেন্দ্র ৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা কর বাবদ নিয়ে যায় আর ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। ৬.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্র দিয়েছে।
রাজ্যকে ফাইনান্সিয়াল ইরেগুলারিটিস ঠিক করতে হবে। আপনারা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেন নি, আপনারা প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করেছেন। টাকা আটকে দেওয়ায় আপনারা বাধ্য হয়ে ‘জল স্বপ্ন’ নাম পরিবর্তন করে ‘জল জীবন মিশন’ নাম করতে বাধ্য হয়েছেন।”
advertisement
শুভেন্দু এর পর মনে করিয়ে দিতে চান রাজ্যের জন্য বিজেপির অবদান। তাঁর কথায়, “২ লক্ষ ৫ হাজার ৩.৪ কোটি টাকা দিয়েছে এনডিএ সরকার। আবাস যোজনার জন্য যারা টাকা খেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আপনারা ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ি করার কথা বলছেন, আমি বলছি আপনারা রেকটিফাই করুন, আমরা আরও ২০ লক্ষ মানুষের বাড়ি তৈরির টাকা কেন্দ্র থেকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করব। আসুন না, একসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সব গরিব মানুষের বাড়ি করে দিই।”
শুভেন্দুর চাঁচাছোলা প্রশ্ন, “সমাধান চান নাকি সমস্যা জিইয়ে রাখতে চান? আপনারা ভায়োলেশন করেছেন বলেই টাকা আটকানো হয়েছে” তাঁর দাবি, কোনও রাজনীতি হয়নি। শুভেন্দু বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে আমার জেলায় ১৬ টার মধ্যে ১৫ টাতে বিজেপি লিড পেয়েছে। আপনাদের সাফ করে দিয়েছি। ওসব ৬-০ শোনাবেন না।” তাঁর কথায়, “এই রাজ্যের সরকারকে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারই বলব, কারণ উনিই মুখ্যমন্ত্রী, প্রশাসনিক প্রধান। পশ্চিমবঙ্গে বঞ্চনার গল্প নেই। আবাস যোজনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সঙ্গে তালিকা তৈরি করার কথা বলছি। মনরেগায় আপনারা বছরে ৫০ দিনের কাজের কথা বলছেন, আমি প্রস্তাব করছি বছরে ২০০ দিনের কাজের ব্যবস্থা করা হোক।”
তবে, শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তিনি বলেন, “২০২১ সালে হেরে যাবার পরেই, কেন্দ্রের এই আচরণ শুরু হয়েছে। যদি বাংলায় এত খারাপ কিছু হত। তাহলে বাংলা সেরার পুরষ্কার পরপর তিনবার পেত না।”