যে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি হোক বা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী মূল নিশানা করেন তাঁর পুরনো দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনী নিয়েও মমতাকে বিঁধলেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের কর্পোরেট সম্মিলনীর কোনও মূল্য নেই। এতে সাধারণ মানুষ থাকে না। শুধু থাকে তোলামূল পার্টির সদস্য, আর পুলিশ।’’
advertisement
আরও পড়ুন- দীপাবলির আগেই মিথুনে মঙ্গল! আপনার জন্য কেমন ফল দেবে এই গোচর দেখে নিন এক নজরে
মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী ৷ ১১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর রাজ্যের প্রতিটি জেলার সব ব্লকে অন্তত একটি করে সভা হবে। পাঁচশোর বেশি সভা হবে গোটা রাজ্য জুড়ে বলে খবর। পুজোর আগেই দলীয় নেতৃত্বকে উৎসব মিটতেই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজয়া সম্মিলনীর আবহে এই সভায় কোন বিষয়গুলি তুলে ধরতে হবে সেই সংক্রান্ত গাইডলাইনও দিয়েছিলেন অভিষেক বলে দলীয় সূত্রের খবর। আলিপুরের উত্তীর্ণ সভাগৃহে শাসক দলের তরফে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে হাজির থাকবেন দলের সুপ্রিমো তথা ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিধানসভা কেন্দ্রের সব জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট জনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে।
এদিকে সরকারি উদ্যোগে বুধবার দুর্গাপুজো পরবর্তী বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করা হয়েছিল নিউটাউনের ইকোপার্কে ৷ এদিনের ইকোপার্কের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল একাধিক শিল্পপতিদেরও। দুর্গাপুজোর পর পরই সাধারণত এই বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য শিল্প দফতরের উদ্যোগে এই বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজনকেও কটাক্ষের সুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন, 'রাজ্যের শিল্পের বেহাল দশা। কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে কোনও নতুন শিল্প নেই। রাজ্যের ভাঁড়ার যখন শূন্য তখন লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রতিদিনই বাংলায় চলছে উৎসব।’’