নবান্ন অভিযানের নামে বিজেপি কর্মীরা মঙ্গলবার গুন্ডামি করেছে ৷ এসএসকেএম হাসপাতালে আহত পুলিশ অফিসারকে দেখতে গিয়ে এমনই অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ একই সঙ্গে বিজেপি নেতাকর্মীদের আক্রমণের সামনে সহনশীলতা দেখানোর জন্য পুলিশকর্মীদেরও কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি ৷
advertisement
অভিষেক বলেন, ‘‘পুলিশকে স্যালুট ৷ আমার সামনে কেউ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করলে মাথায় গুলি করতাম৷’’ গতকাল কলেজ স্কোয়্যার থেকে বিজেপি-র মিছিল হাওড়ার দিকে এগোচ্ছিল ৷ হাওড়া ব্রিজের মুখে সেই মিছিল আটকায় পুলিশ ৷ বড়বাজার এলাকায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ ৷ তখনই একটি গলির ভিতরে বিজেপি নেতা, কর্মীদের পিছু নিতে গিয়ে একা পড়ে যান কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায় ৷ বিজেপি নেতা, কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন ৷ পালাতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে যান ওই পুলিশকর্তা। অভিযোগ, এরপরই ওই পুলিশকর্তাকে একা পেয়ে তাঁকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন বিজেপি-র কিছু নেতা, কর্মী ৷
রাস্তায় ফেলেই রীতিমতো লাথি মারা হয় তাঁকে ৷ পরে কয়েকজন বিজেপি কর্মীই তাঁকে উদ্ধার করে বের করে আনেন ৷ আহত অবস্থায় ওই পুলিশ কর্তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৷ বুধবার সেখানেই তাঁকে দেখতে যান অভিষেক ৷ আহত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে দেখা করে বাইরে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল সাংসদ ৷ সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বলেন, ‘‘উনি আমাকে কিংবা বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে জব্দ করতে না পেরে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। ওনার এত দম্ভ, অহংকার বাম জমানাতে সিপিআইএম নেতাদেরও ছিল না। আর যাদের ছিল সেই লক্ষ্মণ শেঠ, মজিদ মাস্টাররা আজ হারিয়ে গিয়েছেন। ওনার পরিণতিও ঠিক একই হবে। অপেক্ষা করুন, কয়েকদিনের মধ্যেই ওনার ঠিকানা হবে তিহার জেল।’’