আরও পড়ুন– শতাব্দীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিয়ে, মেয়ের বিদায়ে জলের মতো ৫ বিলিয়ন টাকা খরচ করলেন বাবা !
বলা বাহুল্য, গত ২৩ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের বিশেষ অধিবেশনের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকলেও অভিষেকের ছবি না থাকা নিয়ে দলের মধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল ৷ এই সূত্রেই সামনে চলে এসেছিল বহু পুরনো নবীন- প্রবীণ বিতর্ক৷ ফলে ফের একবার তৃণমূলের অন্দরে ক্ষমতার ভরকেন্দ্রকে ঘিরে সংঘাত জল্পনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে৷ সেই বিতর্কেই মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
অভিষেক বলেন, ‘‘যে কোনও ক্ষেত্রেই বয়সের ঊর্ধ্বসীমা থাকা প্রয়োজন৷ রাজনীতি, ক্রিকেট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সব জায়গাতেই থাকা উচিত৷ প্রবীণদের সব জায়গাতেই দরকার৷ কিন্তু যে পরিশ্রমটা একজন চল্লিশ বছরের যুবক অথবা পঞ্চাশ বছরের একজন মানুষ করতে পারবেন, সেটা তো একজন সত্তর- আশি বছরের মানুষ করতে পারবেন না৷ ‘প্রোডাক্টিভিটি’ কিছুটা হলেও কমে ৷’’ এর পরেই কংগ্রেসের উদাহরণ দিয়ে অভিষেক তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেন, ‘‘নতুন তৃণমূল মানে এই নয় যাঁদের বয়স কম তারাই দল করবে৷ দলে প্রবীণ নেতাদেরও দরকার৷ কিন্তু কংগ্রেসে যাঁরা প্রতিভাবান, তাঁদের আড়াল করে রাখার জন্য এই জায়গাগুলোতে হেরেছে৷ রাজস্থানে মাত্র ২ শতাংশ ভোট কম পেয়ে হেরেছে৷ এই মতপার্থক্যগুলো শুধরে নিলে এই ফল হত না৷ যদি কেউ ভাবে দীর্ঘদিন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখব, তার পতন অবশ্যম্ভাবী৷ এটা কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম, তৃণমূল- ভারতবর্ষের সব দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷’’
আর এরপরই অভিষেকের মন্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ডের বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তুলে শুভেন্দুর প্রশ্ন ,‘‘ও কে যে ওর রাজনৈতিক বিশ্লেষণ শুনতে হবে, ওর রাজনৈতিক বিশ্লেষণের কি গুরুত্ব আছে?’’
আরও খবর পড়তে ফলো করুন