তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই ছাত্ররা ভোটের সময় ‘নো ভোট টু মোদী’ স্লোগান দেয় এবং বিজেপি-কে আটকানোর চেষ্টা করে। বিজেপি-র ক্ষমতায় আসার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি-কে ক্ষমতায় আনুন, সব সাফ করে দেব।” যাদবপুরের বর্তমান পরিস্থিতিকে পার্থেনিয়াম আগাছার সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “যাদবপুরে যত পার্থেনিয়াম আছে সব পরিষ্কার করে দেব।”
advertisement
এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে শুভেন্দুর এই কঠোর মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “ওখানে মদ-গাঁজা-চরসের আখড়া হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি ও ১৫ আগস্ট পালন করতে দেওয়া হয় না, বন্দে মাতরম বা জাতীয় সঙ্গীত হয় না। রামনবমী বা দুর্গাপূজার বিজয়াও পালন করতে দেয় না।”
তিনি আরও বলেন, যাদবপুরের অতিবাম ছাত্র সংগঠনগুলি ভারতীয় সংবিধান পোড়ায় এবং ‘আজাদ কাশ্মীরের’ স্লোগান দেয়। শুভেন্দুর মতে, “তাদের নাম হলো ‘মাকু’, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন ‘সেকু’। ওখানে মাকু আর সেকুর ‘জয়েন্ট ভেঞ্চার’ চলছে।”যাদবপুর প্রসঙ্গ ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন। তাঁর দাবি, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা অপরাধে যুক্ত থাকলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে না। প্রাক্তন সেনা আধিকারিকদের ধরনায় যাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, আদালত বিজেপির পদাধিকারীদের না যেতে বললেও বিধায়কদের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না, তাই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। শুভেন্দু আরও অভিযোগ করেন যে, যাদবপুর ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগাতে দেওয়া হয় না এবং একাধিকবার রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন।