মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফিরে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘‘ শাসক দলের নেতারা যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তারা কেউ পার পাবে না। তিহার জেল যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। অপেক্ষা করুন।’’ প্রসঙ্গত, বিরোধীদের অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রা আটকাতেই পুরনো ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। অনুব্রতর বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন দুর্গাপুরের মেজে গ্রামের বাসিন্দা শিব ঠাকুর মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী।
advertisement
দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার জন্য এবার অভিযোগকারী সেই তৃণমূল কর্মীকেই দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিল শাসক দল। তৃণমূলের বীরভূমের জেলার সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় এ কথা জানিয়েছেন। যদিও তৃণমূলের এই পদক্ষেপকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, গোটা বিষয়টিই আসলে পূর্ব পরিকল্পিত। শিব ঠাকুর মণ্ডল নামে ওই তৃণমূল কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতেই আজ তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। আপাতত সাত দিন পুলিশ হেফাজতে দুবরাজপুর থানায় থাকবেন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার কারণে আপাতত আর অনুব্রতকে জেরা করার জন্য দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি। বীরভূমের তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘যে কর্মী জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করতে পারে, আমি মনে করি না সে আমাদের দলের কেউ। এটা বিজেপি-র চক্রান্ত হতে পারে। বিজেপি অনেক দিন ধরেই এই চেষ্টা করছে।’’ যদিও এই দাবি মানতে চাননি শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘‘সব সাজানো ঘটনা। ধীরে ধীরে সব প্রকাশ্যে আসবে।’’