দু দশকেরও বেশি সময় ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীকালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি শিবির মনে করছে, উত্তর কলকাতায় তাদের সংগঠন দক্ষিণ কলকাতার তুলনায় কিছুটা শক্তিশালী। কিন্তু দক্ষিণ কলকাতা এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের ‘দুর্গ’। মূলত দক্ষিণ কলকাতার যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে সেখানে কার্যত একচ্ছত্র আধিপত্য শাসকদলের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই দক্ষিণ কলকাতারই। মূলত ২০২৪ কে পাখির চোখ করে রাজ্যজুড়ে ঘর গুছোতে শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে অমিত শাহ লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরনো নির্দেশই বহাল, অভিষেকের বিরুদ্ধে চলবে সিবিআই তদন্ত, জরিমানা ২৫ লাখ: হাই কোর্ট
আর তারপর থেকেই লোকসভা প্রবাস কর্মসূচি ও বুথ সশক্তিকরণ অভিযানে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। গত মঙ্গলবার কলকাতায় হাজির হয়ে প্রথম পর্যায়ে দক্ষিণ কলকাতার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী দিনে উত্তর কলকাতা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তৃণমূলের দুর্গ কলকাতা থেকেও তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘সাফ’ করা যে অসম্ভব নয় সে কথাও এদিন দক্ষিণ কলকাতা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে নামার ডাক দেন শুভেন্দু অধিকারী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: উল্টোডাঙা স্টেশনে কোমরের বেল্ট খুলল এক ব্যক্তি, তাঁকে ধরতেই যা মিলল, গোটা স্টেশন হতবাক
সব মিলিয়ে কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে থাবা বসাতে পদ্ম শিবির আস্থা রাখল বিরোধী দলনেতা, নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা একদা শাসক ঘনিষ্ঠ শুভেন্দু অধিকারীতেই বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। তবে কলকাতার বিশেষ দায়িত্বে কেন শুভেন্দু অধিকারী? কারণ হিসেবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ‘ তৃণমূলের সংগঠন মজবুতের ক্ষেত্রে যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে নিবিড় ভাবে যুক্ত ছিলেন ফলে তাদের রণকৌশল অনেকটাই জানা শুভেন্দুর। আর সেই কারণেই শুভেন্দু অধিকারীকে এই দায়িত্ব দেওয়া হল ।