গতকাল সাসপেন্ড হবার পরে, ‘হিন্দুত্ব….’ নিয়ে তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এই নোটিশ বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। অধিবেশনের শুরুতেই অধ্যক্ষ স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশটি পড়েন। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস, দেবাশিষ কুমার ও নির্মল ঘোষ এই নোটিশ আনেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।
advertisement
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিরোধী দলনেতার মন্তব্যে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। এখানে শপথ নিতে হয়, সংবিধান নিয়ে আমরা কাজ করছি। সংবিধান বলছে আমরা ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে কাজ করছি। কঠোর উন্মাদ যে কথা বলতে লজ্জা পায়। সেই কথা বিরোধী দলনেতার থেকে শুনে আমরা লজ্জিত। আমাদের সরকারকে অপমান করা হয়েছে। আমাদের ধর্ম মানব আর মানুষের সেবা। সেটাই সরকারের প্রধান কাজ। হাউজ বিরোধী দলনেতার কথায় ধিক্কার জানাই। এই লজ্জায় আমরা সকলে লজ্জিত। ভারতের মাটি ভাগাভাগি হয় না জাতি ধর্ম দিয়ে। আমরা সবাই ভারতীয়।”
আরও পড়ুন: কোন ‘ভিটামিনের’ অভাবে অকালে চুল ‘পেকে’ যায় জানেন…? সতর্ক না হলেই মাথা ভরা ‘সাদা’ চুল!
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ চার জন বিজেপি বিধায়ককে একমাসের জন্য ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করেছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও সাসপেন্ড করা হয়েছে অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ এবং বিশ্বনাথ কারক৷ এর ফলে এক মাস বিধানসভার অধিবেশন বা আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন না বিরোধী দলনেতা-সহ চার বিজেপি বিধায়ক৷
সরস্বতী পুজোর আয়োজনে রাজ্যে বাধা পেতে হচ্ছে, এই অভিযোগ করে বিধানসভায় মুলতবি প্রস্তাব আনা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে৷ যদিও সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ স্পিকারের সিদ্ধান্তে অখুশি হয়ে এরপরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা৷ অভিযোগ, তখনই ওয়েলে নেমে এসে কাগজ ছুড়ে মারেন বিরোধী দলনেতা৷ ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা৷
আরও পড়ুন: ভারতের ‘১০০ টাকা’ চিনে ‘কত’ হবে বলুন তো…? শুনলেই চমকাবেন, শিওর!
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিরোধী দলনেতা সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে যে ধরণের মন্তব্য করেছেন তা যথাযথ নয়। সরকারকে বলা মানে আমাদের বলা। এই মন্তব্যে আমরা অপমানিত হয়েছি। এই মন্তব্যের জন্যে আমরা অসম্মানিত। তাই আমরা স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ এনেছি। বিধানসভার ইতিহাসে এমন ঘটনা বা বক্তব্য হয়নি। বাংলায় আমরা নিজস্ব সংস্কৃতির জন্য গর্ব বোধ করতাম। বাংলা থেকে আমাদের হারাতে পারেনি। এরা আসলে ভোটের রাজনীতির জন্য এই সব করছেন।”