ধনেপাতা পচবে না...! টাটকা-সবুজ থাকবে টানা ১৫ দিন...! 'কাগজ' দিয়ে করুন সহজ 'কাজ', মোক্ষম 'উপায়' করবে কামাল

রান্নার ক্ষেত্রে ধনেপাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যখনই কোনও মশলাদার খাবার তৈরি এবং শেষ করা হয়, রান্নার শেষে আপনিও নিশ্চই উপরে ধনেপাতা ছড়িয়ে দেন? কারণ তাতেই খাবারের স্বাদ দ্বিগুন হয়ে যায় নিমেষে।

কিন্তু ধনেপাতা দীর্ঘক্ষণ সংরক্ষণ করা এবং তাজা রাখা একটি বড় কাজ। বেশিরভাগ সময়ই পাতা পচে যেতে থাকে ফ্রিজে রাখা সত্ত্বেও। তাই আজ আমরা ধনেপাতা লম্বা সময় তাজা এবং সবুজ রাখার কিছু সহজ টিপস শিখিয়ে দেব এই প্রতিবেদনে।

ধনেপাতা দ্রুত শুকিয়ে যাওয়া রোধ করার এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য অনেক ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে। সেগুলি খুবই সহজ যদি ঠিক মতো ব্যবহার করা হয় হতে পারে দারুন কার্যকরী।

আজ এই প্রতিবেদনে এমন কিছু দুর্দান্ত রেমেডি শেয়ার করব যার সাহায্যে ছোট্ট সহজ একটি সমাধান দিয়ে আপনি ধনেপাতা ২ সপ্তাহ পর্যন্ত তাজা রাখতে পারেন।

ধনেপাতা ধোয়ার পর ধনেপাতায় সর্ষের তেল লাগালে তা দ্রুত শুকিয়ে যাওয়া রোধ হবে। এছাড়াও, যদি আপনি ধোয়া ধনেপাতা একটি জিপ-লক ব্যাগে রাখেন এবং ব্যাগে কয়েকটি ছিদ্র করে নেন যাতে বাতাস চলাচল করতে পারে, তাহলে ধনেপাতা একদম টাটকা থাকবে। তবে খেয়াল রাখবেন যেন এই ব্যাগে খুব বেশি আর্দ্রতা না থাকে।

আছে আরও একটি মোক্ষম উপায়। ধনেপাতার উপর লেবুর রস মিশিয়ে জল স্প্রে করলে তা দীর্ঘ সময় ধরে সতেজ থাকতে সাহায্য করে। এছাড়াও, যদি আপনি ধনেপাতার শিকড় জলে ভিজিয়ে রাখেন, তাহলে সেগুলি এক সপ্তাহের জন্য তাজা থাকতে পারে। কিন্তু প্রতি ২ দিন অন্তর এই জল পরিবর্তন করা জরুরি।

ধনেপাতা ধুয়ে, কাগজের তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন, এবং তারপর একটি বায়ুরোধী পাত্রে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। এছাড়াও, যদি আপনি ধনেপাতা একটি ভেজা সুতির কাপড়ে মুড়ে রাখেন, তাহলে এটি সবুজ থাকে এবং দ্রুত শুকিয়ে যায় না।

ধনেপাতা ধুয়ে শুকানোর পর, এটি একটি কাগজের তোয়ালে মুড়িয়ে একটি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করুন। এটি ধনেপাতাকে আর্দ্র রাখে এবং দ্রুত শুকিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। আপনি এই টাটকা ধনেপাতা এক সপ্তাহ ব্যবহার করতে পারেন।

উপরে উল্লেখিত এই সহজ ঘরোয়া প্রতিকারগুলি অনুসরণ করে, আমরা খুব সহজেই ধনেপাতাকে দীর্ঘ সময় ধরে তাজা এবং সবুজ রাখতে পারি। এমনকি গরমেও পচে যাবে না সবুজ পাতাগুলি। শুধু করতে হবে সঠিক 'উপায়'।

শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।